ভাত না খেলে অনেকেই সারাদিন অ্যানার্জি পান না, আবার পেটও ভরে না! ভাতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ শরীরকে রাখে সুস্থ। শুধু বাংলাদেশিরাই নয়, ভারত, চীন, জাপান’সহ বিভিন্নে দেশের মানুষ ভাত খাওয়াই অভ্যস্ত।

তবে ভাত যদি আপনি সঠিক উপায়ে না খান খান, তাহরে তা শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। যেমন- অতিরিক্ত ভাত খেলে মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে, আবার বাসি ভাত খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে।

তবে বাসি বলতে ঠিক কত সময়কে ধরা হয়? বেশিরভাগ মানুষ ধারণা করেন, সারারাত রাখা ভাতকেই বোধ হয় বাসি ভাত বলা হয়। তবে জানলে অবাক হবেন, রান্না করার পর ভাত ২ ঘণ্টা ঘরের তাপমাত্রায় রাখলেই তাতে ব্যাকটেরিয়া জমতে শুরু করে।

তখন ওই ভাত খেলে পেটের সমস্যা ও খাদ্য বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই অবশিষ্ট ভাত সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ ও পরবর্তী সময়ে গরম করার ক্ষেত্রে খেয়াল না রাখলে পেটের সমস্যায় ভুগতে পারেন।

একে বলা হয়, ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম। রান্না ও ভাত খাওয়ার পর অতিরিক্ত ভাত ঘরের তাপমাত্রায় কয়েক ঘণ্টা বা সারারাত রেখে দিলে এতে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। এর থেকে যে সমস্যার সৃষ্টি হয় তাকে বলে ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম।

বিশেষেজ্ঞদের মতে, চালে পাওয়া সবচেয়ে সাধারণ ব্যাকটেরিয়া হলো ব্যাসিলাস সেরিয়াস। এটি একটি স্পোর-গঠনকারী ব্যাকটেরিয়া। এটি দূষণের পরে খাবারে বাড়তে পারে ও বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করে। যা খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

ভাত কীভাবে সংরক্ষণ করবেন?

যদি চাল ৪০ ডিগ্রি থেকে ১৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪ ডিগ্রি থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রায় ২ ঘণ্টার বেশি সময় থাকে, তাহলে ব্যাকটেরিয়া খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

তাই ঘরের তাপমাত্রায় ২ ঘণ্টার বেশি ভাত রেখে দেওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে খাওয়ার পর অবশিষ্ট ভাত একটি ঢাকনাযুক্ত পাত্রে ফ্রিজে রেখে দিন।

অবশিষ্ট ভাত যদি ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এর নিচে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়, তাহলে তা ৪ দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে। অবশিষ্ট ভাত নিরাপদে খেতে শুধু একবার গরম করুন ও এর পরপরই খেয়ে নিন