সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে পৌঁছেছেন যুদ্ধে আটকা পড়া সাড়ে ছয়শ বাংলাদেশি। দুটি বহরে ১১টি বাসে রওনা হন তারা। পোর্ট সুদান থেকে জাহাজে করে সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে বিমানে করে দেশে ফিরবেন তারা।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতায় কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের। এ ছাড়া নিরাপত্তা ঝুঁকিও নিতে হয়েছে তাদের।
খার্তুম থেকে সড়ক পথে পোর্ট সুদানের দূরত্ব ৮১৩ কিলোমিটার। বারো ঘণ্টার এ যাত্রা শুরুর আগেই বিপাকে পড়ে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা।
সুদানে বাংলাদেশের দূতাবাস আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, ২ মে স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় ১১টি বাস মাদিনা স্ট্রিটে থাকবে। এই বাসে অন্তত ৬৫০ জন খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে যেতে পারবে। কিন্তু নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে নারী, শিশুসহ ২৫০ বাংলাদেশি জড়ো হন আরেক জায়গায়। তাদের তুলে নিতে জায়গা বদলাতে রাজি হয়নি বাস।
আটকে পড়াদের অভিযোগ, এ নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তাই নির্ধারিত সময়ের চার ঘণ্টা পর প্রায় ৪শ বাংলাদেশিকে নিয়ে রওনা দেয় ৭টি বাস।
পরে স্থানীয় সময় দুপুরে আরও ৪টি বাসে ২৫০ বাংলাদেশি পোর্ট সুদানে রওনা হয়। সেখান থেকে ২ ঘণ্টার সমুদ্র পথ পাড়ি দিয়ে তাদের নেওয়া হবে সৌদি আরবের জেদ্দায়। এরপর পর্যায়ক্রমে জেদ্দা থেকে দেশে ফিরতে শুরু করবেন তারা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ৬৫০ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে বাসগুলো খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো তারা পার হয়ে গেছেন। ইনশাআল্লাহ, স্থানীয় সময় মধ্যরাত থেকে ভোরের মধ্যে সকলে গন্তব্যে পৌছাবে বলে আশা করা যায়।