মেয়েদের পছন্দের পুরুষের সংজ্ঞা এখন আর শুধু ‘টল-ডার্ক-হ্যান্ডসাম’এর মধ্যে আটকে নেই। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘন, চাপ দাড়িও। কিন্তু বয়ঃসন্ধির সময় সেই যে গালে হালকা দাড়ির রেখা দেখা দিয়েছিল, চাকরি করার বয়সে গিয়েও তা ঘন হল না। এ দিকে মেয়েদের মনে ঝড় তোলার প্রাথমিক এই শর্তটি পূরণ করার শখ তো বহু পুরুষের মনেই থাকে।

চিকিৎসকরা বলছেন, চাইলেই একদিনে ঘন দাড়ি গজাতে পারে না। তার জন্য চাই ধৈর্য এবং সময়। মাথার চুলের মতোই নিয়মিত যত্ন নিতে হয় দাড়িরও। এ ছাড়াও মনের মতো ঘন, কালো দাড়ি পেতে গেলে আরও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।

নিয়মিত দাড়ি কামাতে হবে

মাথার চুল ঘন করার জন্য বাচ্চাদের যেমন বার বার ন্যাড়া করে দেওয়া হত, তেমনই দাড়ির ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে গেলে নিয়মিত দাড়ি কামানো অভ্যাস করতে হবে।

দাড়ির জন্য আলাদা তেল ব্যবহার করুন

দু’গাল ভরাট করে দাড়ি গজাতে পারে, যদি বিশেষ তেল ব্যবহার করতে পারেন। চুলের মতোই দাড়ির জন্য বাজারে আলাদা তেলও কিনতে পাওয়া যায়। বিশেষ ভাবে তৈরি করা এই তেল দাড়ি গজাতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই দাড়ি নরম, মসৃণও রাখে।

মুখে যেন ব্রণ না হয়

ত্বকে যদি র‌্যাশ বা ব্রণর সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে কিন্তু মুখের পাতলা লোমগুলো ঝরে যেতে পারে। ত্বক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরবর্তীকালে এই জায়গায় আর দাড়ি নাও গজাতে পারে। তাই এমনটা হলে প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল।

সংক্রমণ যেন না হয়

ত্বক ভাল করে পরিষ্কার না করলে, হালকা দাড়িতেও সংক্রমণ হতে পারে। পুরুষদের ত্বকে এই ধরনের সংক্রমণ হলে তা সারতে কিন্তু সময় লাগে। অনেকের আবার গালের ওই নির্দিষ্ট জায়গায় সাদা দাগও হয়ে যায়।

দাড়ি কামানোর যন্ত্র পরিষ্কার রাখা

অন্যের ব্যবহার করা ক্ষুর ভাল করে ধুয়েও ব্যবহার করবেন না। নিজের জন্য ব্লেড, ক্ষুর, ব্রাশ আলাদা করে রাখুন। প্রতি বার দাড়ি কাটার পর গরম জলে ভাল করে জীবাণুমুক্ত করে নিন। একই ভাবে ব্যবহার করার আগেও এই নিয়ম মেনে চলুন। দাড়ি বড় হলে ট্রিমার ব্যবহার করতে পারেন।