ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের ৫০তম জন্মদিন আজ। শুভদিন শচীন টেন্ডুলকার। যদিও আইপিএলে শনিবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে স্বাগতিক দলের ম্যাচে আগেভাগেই দিনটি উদযাপন করে ভক্তরা। গড অফ ক্রিকেট খ্যাত শচীনের জন্ম ১৯৭৩ সালে মুম্বাইয়ে।

কেউ তাকে বলেন ‘ক্রিকেটের বরপুত্র’ আবার কারও চোখে তিনি খোদ ‘গড অফ ক্রিকেট’। এই ক্রিকেটের ঈশ্বর শব্দটায় অনেকের আপত্তি থাকতে পারে, তবে আদতে তিনি তাই। ভারতে ক্রিকেট ধর্ম হলে, ঈশ্বর তো শচীনই হবেন। তিনি খেলা মানেই স্টেডিয়ামে জনসমুদ্র।

অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ম্যাথু হেইডেন একবার বলেছিলেন, ‘আমি ঈশ্বরকে দেখেছি। তিনি ভারতের হয়ে চার নম্বরে ব্যাট করেন।’ বাকিদের থেকে কোথায় আলাদা শচীন? কেন তার বিশ্বজোড়া এত প্রভাব? কেন তাকে ঘিরে এত বিস্ময়? অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের মতে, ‘বিশ্বে দু’ধরনের ব্যাটার হয়। এক, শচীন টেন্ডুলকার।

২৪ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মোট ৬৬৪ টি ম্যাচ খেলেছেন সচিন। বিশ্বের কোনও ক্রিকেটার খেলেননি এত সংখ্যক আন্তর্জাতিক ম্যাচ। শুধুমাত্র ২০০ টি টেস্ট ম্যাচই খেলেছেন সচিন। সেইসঙ্গে ৪৬৩ টি একদিনের ম্যাচ এবং একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেছেন এই কিংবদন্তি।

ভারতীয় এই ব্যাটিং জিনিয়াস ক্যারিয়ারজুড়ে সর্বোচ্চ ফিফটির বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন। এবার জীবনের ইনিংসেও পঞ্চাশ হাঁকালেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। তার অর্ধশত বসন্ত আজ (২৪ এপ্রিল)। ১০০ সেঞ্চুরি, ২০০ টেস্টের পর জীবনের ৫০।

১৯৯০ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ১৯৯৮ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত একটি ম্যাচেও সচিনকে ছাড়া মাঠে নামেনি ভারত, হয়েছেন সর্বোচ্চ ৭৬ বার ম্যাচ সেরা। সচিনের পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক রানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন কুমার সাঙ্গাকারা।

শচীন টেন্ডুলকার নামে বিশ্বজুড়ে পরিচিত হলেও তার পুরো নাম শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। ১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের মহারাষ্ট্রে শচীনের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রমেশ টেন্ডুলকার ও মা রজনী টেন্ডুলকার।