বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডগুলোর আর্থিক অবস্থা উঠানামা করে। ক্রিকেটের বাজার, স্পন্সর, ঘরোয়া লিগের জনপ্রিয়তা, এসব কিছুর উপর নির্ভর করে কোন বোর্ড কত ধনী। আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যম জানাচ্ছে, তালিকায় উত্থান-পতন থাকলেও, ভারত ঠিকই আছে শীর্ষে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে বিসিবির আছে তালিকার ৫ম স্থানে।
ক্রিকেটে ভারতীয় বোর্ডের যে আয়, তার ধারেকাছে নেই অন্য বোর্ডগুলো। বিসিসিআইয়ের সম্পদ মূল্য এখন ২ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় বোর্ডের এতো আয়ের উৎস কি? আইপিএল থেকে মোটা অংকের লাভ হয়, সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ।
ব্রডকাস্টিং রাইটস এক্ষেত্রে বড় খাত। গ্লোবাল ইভেন্টে ভারতীয় দল অংশ নিলে, আইসিসির ব্রডকাস্টিং রেভিনিউ থেকে লভ্যাংশ আসে। যার পরিমাণ বছরে প্রায় আড়াইশো কোটি রূপি। বিশাল ক্রিকেট বাজারের কারণে, স্পন্সরের অভাব নেই।
ভারতের পর ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার অবস্থান। কদিন আগে সেরা পাঁচেও ছিল না তারা। সম্প্রতি আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা বিনিয়োগ করে সাউথ আফ্রিকার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে। তাতেই পাল্টে গেছে ভাগ্য। আর প্রোটিয়া ন্যাশনাল টিম ববাবরই হাই প্রোফাইল। তাদের সম্পদের পরিমাণ ৭৯ মিলিয়ন ডলার।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যেমের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিট মূল্যের হিসাবে ইংল্যান্ড ৩ নম্বরে ও পাকিস্তান রয়েছে চারে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থান ৫ নম্বরে। বিসিবির সম্পদের নিট মূল্য ৫৫ মিলিয়ন ডলার। এরপরই অবস্থান জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের।
কিছুদিন আগে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ান বোর্ড নেমে গেছে ৭ নম্বরে। করোনা মহামারীতে খরচ বেড়ে যাওয়া, সেই সাথে ব্রডকাস্টিং চুক্তির মধ্যস্থতা করতে না পারায়, আর্থিক ক্ষতি হয় অস্ট্রেলিয়ার।
শীর্ষ দশ বোর্ডের মধ্যে ৮ নম্বরে শ্রীলঙ্কা, ৯ নম্বরে উইন্ডিজ আর সবার শেষে নিউজিল্যান্ডের অবস্থান।