সুদানে আধাসামরিক বাহিনী, র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস-আরএসএফ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। শনিবার যা রূপ নেয় সংঘাতে। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে জাতিসংঘের ৩ সদস্য রয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪ শতাধিক। দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ছাড়াও দুই পক্ষের প্রতি সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান, জাতিসংঘ এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের।
রাজধানী খার্তুমে বেশ কয়েকটি জায়গায় গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের খবর শোনা যায়। এই ঘটনায় সেনাবাহিনীকে দায়ী করে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। এক পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, সেনাপ্রধানের বাসভবন ও খার্তুম বিমানবন্দরসহ ৩টি বিমানবন্দর দখলের দাবি করে তারা।
ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে আরএসএফ অভ্যুত্থান চেষ্টা চালিয়েছে- বলে জানায় বার্তা সংস্থা-রয়টার্স। যদিও আধাসামরিক বাহিনীর দাবি নাকচ করে, পাল্টা লড়াই চালানোর কথা জানায় সেনাবাহিনী।
চিকিৎসকদের সংগঠন সেন্ট্রাল কমিটি অব সুদান ডক্টরস জানায়, দুপক্ষের সংঘর্ষে বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে। এ সংঘাতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এদিকে, দুপক্ষেকে সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি বলেন, দেশের মানুষের লাশের ওপর দিয়ে কেউ বিজয়ী হতে পারবে না।