রোজার মাসে বাড়তি চাহিদার কারণে ব্যবসায়ীরা হঠাৎ দাম বাড়িয়ে ৮০০ টাকায় নিয়ে গেছেন গরুর মাংসের কেজি। অথচ এর চেয়ে অন্তত দেড়শ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে প্রাণীসম্পদ বিভাগের গরুর মাংস।
ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, দাম ঠিক রাখায় সরকারি হস্তক্ষেপের অভাবে মূল্যবৃদ্ধির এই সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
রোজা শুরুর আগেই গরুর মাংসের দাম বাড়তি ছিল। আর রোজাতে কেজি প্রতি এক লাফে বাড়ল একশ-দেড়শো টাকা। অজুহাত, বাড়তি দামে কিনতে হয় গরু, তাই মাংসের দামও বেশি। সরকারি কোনো সংস্থার তদারকি না থাকায় বাজারে এ নৈরাজ্য স্বীকার করলেন মাংস ব্যবসায়ীরাও।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, সরকার কেন দাম নির্ধারণ করে দেয় না? যদি সরকার নির্ধারণ করে দিত তাহলে গরুওয়ালা জানত, আমাদেরও বেশি দামে কিনতে হতো না।
রবিউল আলম আরও বলেন, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর লোকসান না দিয়েও রমজান মাসে গরুর মাংস বিক্রি করছে কেজি ৬৪০ টাকা দরে। বিপণন ও কর্মীর খরচ ধরলে এই দাম কোনোভাবেই ৭০০ টাকার বেশি হবার কথা নয়। সরকারি দাম কম হলেও বেশি দামে মাংস বিক্রির পক্ষে খোড়া যুক্তি দেখায় ব্যবসায়ীরা। কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সাড়ে ছয়শ টাকায় মাংস বিক্রি করলে আমরা সাড়ে ৭০০টাকায় বিক্রি করলে দোষটা কোথায়?
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক রেয়াজুল হক বলছেন, সরাসরি ওইভাবে ভর্তুকি নেই। আমাদের ফ্রিজিং গাড়ি ব্যবহার হচ্ছে। কর্মচারীরা কাজ করছেন। ৬৪০ টাকা সরাসরি খামারিরা পাচ্ছে। সরকার তেমন কোনো ভর্তুকি না দিয়েই কম দামে মাংস দিচ্ছে ভোক্তাদের।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, সরকারিভাবে ২৩টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া যায়। সেগুলো আমরা মনিটরিং করি। গরুর মাংস বা সবজি এর আওতায় পড়ে না।
২০১৭ সালেও রোজার আগে গরু-ছাগলের মাংসের দাম ঠিক করে দিত সিটি করপোরেশন। সেই ব্যবস্থাও এখন উধাও বাজার থেকে।