ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এখন থেকেই নিশ্চয়ই গৃহিণীরা পরিকল্পনা করছেন ঈদের দিন থেকে শুরু করে এর পরের দিনগুলোতে অতিথি আপ্যায়নে কোন কোন পদ তৈরি করবেন।
তারা চাইলে ঈদের বিশেষ রেসিপির তালিকায় রাখতে পারেন কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে গরুর মাংস রান্নার ভিন্ন এক পদ। একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে এই পদ। রইলো রেসিপি-
উপকরণ
১. গরুর মাংস ১ কেজি
২. কাঁচা কাঁঠাল (অর্ধেক)
৩. তেল আধা কাপ
৪. তেজপাতা ২টি
৫. এলাচ ৫-৬টি
৬. দারুচিনি ২-৩ টুকরো
৭. লবঙ্গ ৫-৬টি
৮. পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ
৯. পানি আধা কাপ
১০. আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
১১. রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
১২. হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
১৩. মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
১৪. ধনিয়ার গুঁড়া ১ চা চামচ
১৫. লবণ স্বাদমতো
১৬. গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ ও
১৭. ভাজা জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ।
পদ্ধতি
প্রথমে গরুর মাংস কেটে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নিতে হবে। এরপর একটি কাঁঠালের অর্ধেকটুকুর খোসা ছাড়িয়ে ছোট টুকরো করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। না হলে কাঁঠাল কালো হয়ে যাবে।
এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে তাতে দিতে হবে পরিমাণমতো পানি। সামান্য হলুদ গুঁড়া দিয়ে কেটে রাখা কাঁঠালগুলো ঢেকে দিন। কিছুক্ষণ পর এক বা দুবার ফুটে উঠলেই চুলা থেকে নামিয়ে চালনিতে ঢেলে দিতে হবে।
এবার চুলায় একটি বড় প্যান বসিয়ে তাতে তেল গরম করে একে একে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি ও লবঙ্গ ভেজে নিন। তারপর পেঁয়াজ কুচি নেড়ে নেড়ে ব্রাউন কালার করে দিয়ে দিন পানি আধা কাপ, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া ও লবণ স্বাদমতো।
নেড়ে নেড়ে অল্প সময় মসলা কষিয়ে দিয়ে দিতে হবে গরুর মাংস। ভালোভাবে নেড়ে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে।
ঢেকে দিন কিছু সময়ের জন্য। মাংস থেকে পানি বের হবে। এই পানিতেই কিছুক্ষণ পরপর ঢাকনা সরিয়ে মাংস নেড়ে কষিয়ে নিতে হবে।
মাংসের ঝোল শুকিয়ে এলে আবারও পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিন। মাংস সেদ্ধ হতে যতটুকু পানি লাগবে ততটুকু পানিই দিতে হবে।
মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল মাখা মাখা হয়ে এলে দিয়ে দিন আগে থেকে কেটে ধুয়ে ভাপ দিয়ে রাখা কাঁচা কাঁঠাল। আবারও ভালোভাবে নেড়ে ঢেকে দিতে হবে।
মাংসের সঙ্গে কাঁঠাল কষানো হয়ে গেলে দিয়ে দিতে হবে ফুটন্ত গরম পানি। মাখা মাখার চেয়ে একটু বেশি পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। মাংস ও কাঁঠাল পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে গেলে দিয়ে দিতে হবে গরম মসলার গুঁড়া ও ভাজা জিরার গুঁড়া।
ভালোভাবে নেড়ে চুলার আঁচ কমিয়ে আবারও ঢেকে দিতে হবে। অল্প আঁচে মাংস পুরো পুরি সেদ্ধ হয়ে ঝোল মাখা মাখা হয়ে গেলেই চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। তাহলেই রান্না হয়ে যাবে কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে গরুর মাংস।