ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধানে নেমেছে । এরই মধ্যে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদসহ সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য-উপাত্ত তলব করেছে দুদক।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে ফরিদপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপপরিচালক বলেন, অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে।
দুদকের ফরিদপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর ওয়াদুদ মাতুব্বর ও তাঁর ওপর নির্ভরশীল সবার জাতীয় পরিচয়পত্র, আয়কর রিটার্ন ও পার্সপোর্টের ফটোকপিসহ ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। পরে তিনি হাজির হয়ে কাগজপত্র জমা দেন।
ফরিদপুর ছাড়াও যেখানে যেখানে ওয়াদুদ মাতুব্বরের সম্পদ রয়েছে সবকিছু অনুসন্ধানের আওতায় থাকবে। এ ছাড়া তাঁর সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য বিভিন্ন দফতরে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে ফরিদপুর দুদক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, দুদক আমার কাছে আয়কর রিটার্ন, এনআইডি কার্ডের ফটোকপিসহ সম্পদের হিসাব চেয়েছিল। আমি তার জবাব দিয়েছি। নতুন করে দুদক থেকে এ ব্যাপারে আমাকে আর কোনো কিছু জানানো হয়নি।
সালথা উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ব্যবহার করে ব্যাপক দুর্নীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাত করে অবৈধ সম্পদের অর্জনের একটি অভিযোগ পায় দুদক। এরই প্রেক্ষিতে তদন্ত করছে সংস্থাটি।