খাগড়াছড়িতে চলছে পাবর্ত অঞ্চলের মানুষদের প্রাণের উৎসব বৈসাবি। নিজের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও গানের মাধ্যমে বৈসুকে বরণ করে নিচ্ছে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী। পার্বত্যঅঞ্চলের বৈসাবি উৎসবে গরয়া নাচ, জলকেলি আর ফুল ভাসানে মেতে উঠবে পাহাড়।

এর অংশ হিসেবে শনিবার (৮ এপ্রিল) সকালে শুরু হয় ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব- বৈসু। নাচ-গানের মধ্য দিয়ে নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরেন তরুণ-তরুণীরা। খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

দিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নিতে পেরে উচ্ছসিত সব বয়সের মানুষ। এছাড়া উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা ফুল দিয়ে ঘর সাজায়। বাংলা বছরের শেষ দুইদিন ও বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন চলে এ উৎসব। বৈসাবিকে ঘিরে পাহাড়ের পাড়া-পল্লীতে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে।

নতুন প্রজন্মকে নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সর্ম্পকে ধারণা দিতে এই উৎসব-আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা। আগামী ১৪ এপ্রিল গুইমারায় মারমাদের পানি খেলার মাধ্যমে শেষ হবে জেলার বৈসাবি আনুষ্ঠানিকতা।

বৈসাবি উৎসব- বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি আদিবাসী সমাজের বর্ষ বরণ উৎসব। এটি তাদের প্রধাণ সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি।

এই উৎসবটি ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুব, বৈসু বা বাইসু, মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত।