ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় বঙ্গবাজারের বঙ্গ মার্কেট, গুলিস্তান মার্কেট, মহানগর শপিং কমপ্লেক্স, আদর্শ মার্কেট ও এনেক্সকো টাওয়ার। এতে সর্বস্ব হারিয়েছেন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের চারদিন পার হলেও এখনও আগুনের ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে কোথাও কোথাও। আশপাশের এলাকায় এখনও রয়েছে পোড়া গন্ধ।

আগুনে পোড়ার পর দোকানের টিন, লোহা, গ্রিল এবং সাটার সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। ব্যবসায়ীদের দাবি অর্থ সহায়তার সঙ্গে দোকান বসার সুযোগ করে দেওয়ার। ব্যবসায়ী সমিতি বলছে, মার্কেটের জায়গা পরিষ্কারের কাজ চলছে, পরিষ্কার হলেই দোকান বসতে পারবে।

শনিবার (৮ এপ্রিল) এনেক্সকো টাওয়ারের পশ্চিম পাশে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. নাজমুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলামসহ অনেক ব্যবসায়ী।

বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা এরই মধ্যে পুড়ে যাওয়া দোকানের টিন, লোহা, গ্রিল, সাটারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করে দিয়েছি। তা থেকে ৪০ লাখ টাকা এসেছে। এ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তায় খোলা হিসাব নম্বরে দেওয়া হবে। আরও সহায়তা নিয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে জমা দেবো। যেগুলো পরবর্তীতে মেয়রের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।

কবে নাগাদ ব্যবসায়ীরা দোকানে বসতে পারবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে আগুন লাগার পর থেকে পরিষ্কারের কাজ চলছে। শ্রমিকরা দিনরাত কাজ করছেন। এরই মধ্যে শ্রমিকের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। তবে আজ কাজ শেষ হলে কালই মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করে দোকান বসানো হবে।

গত মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৪৮টি ইউনিট কাজ করেছে। ভয়াবহ এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে এনেক্সকো টাওয়ার ও মহানগর মার্কেটে। এখনও সেখান থেকে ধোঁয়া উড়ছে।