খাবার পাতে যদি একটু সালাদ থাকে তাহলে তো আলাদাই ব্যাপার। কিন্তু সালাদ পাতি লেবু ছাড়া তো ভাবাই যায় না। পাতি লেবু শুধু সালাদে নয়, এর ব্যবহার বিভিন্ন পদে করা হয়ে থাকে। পাতি লেবুর স্বাদ বৃদ্ধির ভূমিকা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বিশেষ খাদ্যগুণ। পাতি লেবুকে ভিটামিনের ভাণ্ডার বলা হয়ে থাকে। প্রচন্ড গরমে ঠান্ডা এক গ্লাস লেবুর সরবতই মূহুর্তের মধ্যে ক্লান্তি দূর করে।

ছোট থেকে বড় সবার জন্যই লেবু এক আশ্চর্য গুণসম্পন্ন সবজি এবং ভেষজ। প্রায় আমাদের দেশে শতকরা ৯১ জন লোক ভিটামিন ‘সি’-এর অভাবে ভুগছেন। একজন লোকের দৈনিক গড়ে ৫০ থেকে ৭০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ খাওয়া দরকার বলে অনুমোদন করেন ডাক্তাররা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে দেহে পিএইচ-এর মাত্রা ঠিক থাকে। ফলে শরীরে কর্মক্ষমতা বেড়ে ওঠে। সকালে গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে হজম ক্ষমতাও ভালো থাকে।

১. পাতিলেবু ওজন কমাতে ওষুধের চেয়েও বেশি কার্যকরী। লেবুর রস শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না। লেবুতে ভিটামিন এ, সি, ই, বিটা ক্যারোটিন লিভার, ফুসফুস, জরায়ু, স্তন, পাকস্থলী ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। হালকা গরম জলে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা, সর্দি, কাশি গলাযন্ত্রণা দূর হয়।

২. রূপচর্চার কাজেও ব্যবহৃত হয় লেবু। লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বককে ভালো রাখতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়াও লেবু ত্বক ভালো রাখে এবং ত্বকের মধ্যে উপস্থিত তৈলাক্ত ভাবকে দূর করে।

৩. মাথার খুশকি দূর করতে রুক্ষ ভাব কমাতে লেবুর ভূমিকা অপরিসীম। এ ছাড়াও লেবু দিয়ে দাঁত ও ঠোঁটের যত্নও নেওয়া যায়। চিনির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে ঠোঁটের উপর ঘষলে তা মৃত কোষ উঠিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার ও ঝকঝকে রাখবে।

৪. পানিতে লেবু মিশিয়ে খেলে সারাদিন সঠিক মাত্রায় শরীরে পানির জোগান ঘটে। লেবু শরীরকে সারাদিন হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। শরীর হাইড্রেটেড থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকার। তাই শরীরের জন্য লেবুর রসের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।