নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে জেসমিন সুলতানার মৃত্যু নির্যাতনে নয়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. কফিল উদ্দিন।সোমবার দুপুরে জেসমিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তিন
কফিল উদ্দিন জানান, ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের ময়নাতদন্তে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এ কমিটি পর্যবেক্ষণ শেষে অতিরিক্ত মানসিক চাপে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঘটনার জেরে জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে।
এ ছাড়াও তার কপালের বাম পাশে ও ডান কনুইয়ে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও এ দুটি আঘাতে জেসমিনের মৃত্যু হয়নি বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তি মোড় এলাকা থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র্যাব। তাদের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।