ইতালির দক্ষিণে রোচেল্লা ইওনিকার ক্যালাব্রিয়ান বন্দরে পৌঁছেছেন ৬৫০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী। রোববার রাতে মাছ ধরার নৌকা নিয়ে তারা ইতালির উপকূলে পৌঁছেছেন।
ইতালির বার্তা সংস্থা আনসা জানিয়েছে, ৩০ মিটার দীর্ঘ একটি নৌকা নিয়ে তারা উপকূলে পৌঁছান। আরও পাঁচদিন আগে লিবিয়ার উপকূল থেকে রওনা হয়েছিলেন এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।
আনসা জানিয়েছে, ক্যালাব্রিয়ায় আগত এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সবাই পুরুষ। তারা সিরিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও মিশর থেকে এসেছেন বলে জানা গেছে। তবে কোন দেশ থেকে কতজন এসেছেন সে তথ্যটি এখনও জানা যায়নি। আগতদের সবাই শারীরিকভাবে ভালো আছেন।
ভূমধ্যসাগরে সম্প্রতি কয়েকটি নৌকাডুবি এবং শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পরেও ইউরোপমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল থামানো যাচ্ছে না। মৃত্যুর ঝুঁকি জেনেও ইতালির উপকূলের দিকে ছুটছেন তারা। শুক্র এবং শনিবার মিলিয়ে দুই দিনে অন্তত তিন হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছেন ইতালির লাম্পেদুসায়।
আনসা জানিয়েছে, শনিবার লাম্পেদুসা পৌঁছানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৩৮৭ জন। আর শুক্রবার সেই সংখ্যাটি ছিল এক হাজার ৭৭৮ জন। তাদের মধ্যে আছে শিশুরাও। সবাই নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লাম্পেদুসা উপকূলে পৌঁছেছেন।
সবমিলিয়ে, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইতালিতে গত বছরের তুলনায় এ বছর এখন পর্যন্ত অভিবাসী নিবন্ধনের সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে। চলতি বছরে, শুধু নৌকায় করে ইতালি এসেছেন ২১ হাজার অভিবাসী। শেষ দুই বছরের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ছয় হাজারের মতো।
আনসা জানিয়েছে, শনিবার ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আসার পথে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে লাম্পেদুসায় নিয়ে আসে ইতালীয় উপকূলরক্ষীরা।
অন্যদিকে, তিউনিশিয়ার উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দুইটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৯ জন মারা যান। শনিবার রাতের এই দুর্ঘটনায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সবাই সাব-সাহারান আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক বলে জানিয়েছে তিউনিশিয়ার ন্যাশনাল গার্ড।