নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরির দায়ে ১৮টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করেছে ভারত। সম্প্রতি দেশটির ২০টি রাজ্যে ৭৬টি কোম্পানিতে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) ঝটিকা অভিযানের পর লাইসেন্স বাতিলের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বার্তা সংস্থা এএনআই’র বরাতে এ খবর জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়েছে, ভারতজুড়ে নকল ওষুধ তৈরির সঙ্গে জড়িত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। ১৮টি কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশে ৭০টি, উত্তরাখণ্ডে ৪৫টি এবং মধ্যপ্রদেশে ২৩টি কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে উজবেকিস্তানে ভারতীয় কোম্পানি ম্যারিয়ন বায়োটেকের তৈরি ওষুধ খেয়ে শিশুমৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে নড়েচড়ে বসে ভারতীয় প্রশাসন। ওই ঘটনায় ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (সিডিএসসিও) তদন্তে দেখা যায়, ৩৬টি নমুনার মধ্যে ২২টিই ‘আদর্শ মানের ছিল না।
এছাড়া, ই-ফার্মেসিগুলোর বেআইনি ব্যবসা পরিচালনা ঠেকাতেও কঠোর হয়েছে ভারত সরকার। এসবের প্রেক্ষাপটে ওষুধ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে ডিসিজিআই।
নেটমেডস, টাটা ওয়ান এমজি, ফার্মইজিসহ একঝাঁক ই-ফার্মেসিকে ভারতের ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট, ১৯৪০ লঙ্ঘনের অভিযোগে গত মাসে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছিল ডিসিজিআই। কোম্পানিগুলো তারপর থেকে ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করছে। তবে এখনো কারও আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি।
এছাড়া, ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে মামলা দায়েরের পর ম্যারিয়ন বায়োটেকের তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ।