পাশাপাশি দাঁড়ানো দুই মেসি। দু’জনের হাতেই উচ্চকিত বিশ্বকাপ ট্রফি। দূর থেকে দেখলে কোনটি আসল, কোনটি নকল বোঝার সাধ্য নেই। তবে কাছে গিয়ে তাকালেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে। দুই মেসির একটিতে প্রাণ নেই। মোমের তৈরি ভাস্কর্য।

ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে লাতিন আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন কনমেবলের প্যারাগুয়েস্থ সদর দপ্তরের মিউজিয়ামে। কাতার থেকে বিশ্বকাপ জয়ের পর ১০০তম দিন ছিল সোমবার। এই রাতেই কনমেবলের সদর দপ্তরে নিজেই নিজের ভাস্কর্য উম্মোচন করেন লিওনেল মেসি।

অর্থ্যাৎ, কাতারে ১৮ ডিসেম্বর যে বিশ্বকাপ জয় করেছিলেন লিওনেল মেসি, তার উদযাপন এখনই শেষ হচ্ছে না। আগেই আর্জেন্টাইন মহানায়কের নামে জাতীয় দলের প্র্যাকটিস সেন্টারের নামকরণ করেছিলো আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন।

এবার কনমেবল তৈরি করল মেসির ভাস্কর্য। কনমেবলের মিউজিয়ামেই থাকবে সেটি। সেখানে একই সঙ্গে থাকবে পেলে ও ম্যারাডোনার ভাস্কর্যও।

ভাস্কর্য উম্মোচনের সময় মেসির হাতে তুলে দেওয়া হলো বিশ্বফুটবলের নেতৃত্বের ব্যাটনও। দেখলে মনে হবে যেন একটি জাদুর কাঠি। গত বছর ১৮ ডিসেম্বর কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বজয় করে আর্জেন্টিনা। সেই ব্যাটন দিয়ে বোঝানো হচ্ছে মেসিই বিশ্বসেরা ফুটবলার।

এর আগে কোপা আমেরিকা জয় করেছিলো নীল-সাদা জার্সিধারীরা। ইতালিকে হারিয়ে জেতে ফাইনালিসিমা ট্রফি। মেসির হাতে এ সময় বিশ্বকাপ, ফাইনালিসিমার একটি করে রেপ্লিকাও তুলে দেয়া হয়। এ সময় মেসিকে উৎসর্গ করে গাওয়া হয় ‘লা সোল’ শিরোনামে একটি গান।

এই অনুষ্ঠানে মেসি বলেন, আলেজান্দ্রোকে (ডোমিঙ্গেজ) ধন্যবাদ। এই দুটি ট্রফির রেপ্লিকা আমার হাতে তুলে দেয়ার জন্য। আমরা এ দুটি নিয়েই বেশি কথা বলছি। বিশেষ করে এটা নিয়ে (বিশ্বকাপ ট্রফিকে ইঙ্গিত করে)। আমি এটিকে আমার ঘরের জাদুঘরে রাখবো। যেমনটি রেখেছি আরও অনেকগুলো ট্রফি। কনমেবলের সঙ্গে জড়িত আপনাদের সবাইকে আমার অন্তর থেকে ধন্যবাদ।