বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি তারা টানা দুইবার। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। তবে ২০২৪ ইউরো বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়েছিলো ইংল্যান্ডের কাছে। ২-১ গোলের ওই পরাজয়ের পর এবার মাল্টার মত দলকে পেয়ে জয়ের ধারায় ফিরে এলো রবার্তো মানচিনির দল। মাল্টার মাঠে গিয়ে ২-০ গোলে জয় নিয়ে দেশে ফিরেছে আজ্জুরিরা।

‘সি’ গ্রুপের এই ম্যাচে প্রথমার্ধের দুই গোলেই জয় তুলে নিয়েছে ইতালি। ১৫তম মিনিটে প্রথম গোল করেন মাতেও রেতেগুই এবং ২৭তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন মাতেও পেসিনা।

ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালি প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে। যদিও মাল্টার বিপক্ষে জয় পেয়েছে তারা। অন্যদিকে একই গ্রুপে ইংল্যান্ড ইউক্রেনকে হারিয়ে দুই ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেছে। ইতালির পয়েন্ট মাত্র ৩।

ইতালি কোচ রবার্তো মানচিনি ম্যাচের পর বলেন, এটা এমন এক ম্যাচ, যেখানে প্রতিপক্ষ খেলবে এমন এক মানসিকতা নিয়ে যে, তাদের হারানোর কিছু নেই। এ কারণে তারা যে কোনো কিছু ঘটাতে পারে, খুব বাজেভাবে খেলতে থাকে। আমরা কিছু ভালো কাজ করেছি। সবচেয়ি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল, জয়ে ফেরা। সে কাজটা করতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা দ্রুত ডেডলক ভাঙতে পেরেছি। যদিও আরও বেশি গোল করা উচিৎ ছিল। কিন্তু করতে পারিনি। তবে, ম্যাচটিতে আরও অবাক করা কিছু হতে পারতো।

স্বাগতিকরা পুরোপুরি ডিফেন্সিভ খেলতে শুরু করে। মিডফিল্ডে তারা জোর করেই ইতালিকে স্লো খেলতে বাধ্য করে। মাল্টা চায়নি ইতালি দ্রুত গোল পেয়ে যাক। তবে, নিজেই বল জড়িয়ে দিতে চেয়েছিলো ইতালির জালে। শুরুতেই আলেকজান্ডার সাতারিয়ানোর দুর্দান্ত এক হাফভলি প্রায় গোলই হয়ে যাচ্ছিলো। গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমা লাফিয়ে উঠে শুধুমাত্র আঙ্গুলের টোকায় বলকে বারের ওপর দিয়ে পার করতে সক্ষম হন।

তবে ১৫ মিনিটেই গোলের দেখা পেয়ে যায় ইতালি। কর্নার কিক থেকে আসা বলে দুর্দান্ত এক হেডে মাল্টার জালে বল জড়ান রেতেগুই। এরপর ম্যাচের ২৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন মাতেও পেসিনা। এমার্সনের ক্রসকে খুব কাছ থেকে মাল্টার জালে জড়িয়ে দেন তিনি।

এর একটু পরই ব্যবধান ৩-০ হয়ে যেতে পারতো। ভিনসেনজো গ্রিফো দারুণ একটি শট নিয়েছিলেন মাল্টা গোলমুখে। কিন্তু গোলরক্ষক হেনরি বোনেলো দারুণ দক্ষতায় সেটিকে রক্ষা করেন।

দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিলো ইতালি। কিন্তু গোল করতে সক্ষম হয়নি। মানচিনি বলেন, আমরা অনেক কিছুই ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি। এটাই সত্য। যখন আপনি ২-০তে এগিয়ে, তখন কোনোভাবেই চাপ কম নিয়ে খেলার চেষ্টা করা ঠিক না।