মালয়েশিয়ায় কাজ আছে বেতন নেই, বেতন চাইলে দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে মালিকপক্ষ। নতুন আসা বাংলাদেশি কর্মীদের সঙ্গে এ রকম ঘটনা ঘটছে। কেউ সাহস করে প্রতিবাদ করছেন আবার কেউবা নীরবে সয়ে যাচ্ছেন, বেতন পাওয়ার আশায়।
মালয়েশিয়ায় হুকুমের গোলাম হয়ে থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশিদের। নরসিংদীর মো. সাকিব খাঁন (২৬), আদম দালাল মামুনের মারফতে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ঢাকার শাহীন ট্রাভেলসের মাধ্যমে গত নভেম্বরে মালয়েশিয়ার চায়না কনস্ট্রাকশন ইয়াংজি সার্ভিস এসডিএন কোম্পানিতে আসেন। প্রথমে মালয়েশিয়ার বানতিংয়ে রাখা হয় তাকে। পরে কেডাহ কোলিম হাইটেক সাইেডে সাকিবসহ ৩৪ জন এ কোম্পানিতে কাজ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা, ওভারটাইম, ছুটির দিনে তিনগুণ কাজ করেও বেতন পাচ্ছেন না তারা। কাজ বন্ধ করে প্রথম ২ মাসের বেতন পেলেও তিন মাসের বেতন পাননি এখনও। কোম্পানি মানছে না শ্রমিক আইন। বেতন চাইতে গেলেই মালিকপক্ষ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে এবং মারধর করতে তাড়িয়ে আসে।
এদিকে পবিত্র রমজান মাসে দেশে মা-বাবাকে টাকা পাঠাতে পারেননি ৩৪ জনের কেউই। একই কথা জানালেন, যশোরের রোমান (৩২) ও সিরাজগঞ্জের সাগর (২৭)।
নরসিংদীর সাকিব জানান, তাদের যেখানে রাখা হয়েছে নেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। নেই পর্যাপ্ত টয়লেটও।
মালয়েশিয়ার চায়না কনস্ট্রাকশন ইয়াংজি সার্ভিস এসডিএন কোম্পানির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হলে শ্রম শাখার মিনিস্টার মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম জানান, কোম্পানির কর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কর্মীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তিনি জানান, যদি কোনো কর্মী সমস্যায় থাকেন বা মালিকপক্ষের আচরণ সম্পর্কে হাইকমিশনকে অবিহিত করে, হাইকমিশন দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবে।