একটা দলকে অবমূল্যায়ন করলে কী হতে পারে দেখিয়ে দিলো আফগানিস্তান। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে রশিদ খানরা। হারিয়ে দিয়েছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে। টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম পাকিস্তানকে পরাজয়ের স্বাদ দিতে পারলো আফগানিস্তান।
সবচেয়ে বড় কথা, পিএসএল খেলে কাঁড়ি কাঁড়ি রান করা পাকিস্তানি ব্যাটাররা শারজায় আফগান বোলারদের সামনে রানই করতে পারেননি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে কেবল ৯২ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলো। জবাব দিতে নেমে ১৭.৫ ওভারে (১৩ বল হাতে রেখে) ৪ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানরা।
সিরিজটা আফগানদের বিপক্ষে। এ কারণে পাকিস্তানও দল পাঠিয়েছে দ্বিতীয় সারির। বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, ফাখর জামান, মোহাম্মদ রিজওয়ান, হারিস রউফদের বিশ্রাম দিয়ে দল গঠন করেছে আফগানদের বিপক্ষে। নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে শাদাব খানের ওপর।
তবে, সিনিয়র কিছু ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেয়া হলেও শাদাব খানের এই দলে পারফরমারের অভাব নেই। পিএসএলে পারফর্ম করা সিয়াম আইয়ুব, আজম খান, মোহাম্মদ হারিস, আবদুল্লাহ শফিকি কিংবা তৈয়ব তাহিরদের রাখা হয়েছে ব্যাটার হিসেবে। সঙ্গে ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, ফাহিম আশরাফ অলরাউন্ডার। নাসিম শাহ, জামান খান এবং ইহসানুল্লাহ বোলার। এমন পারফরমার থাকা সত্ত্বেও আফগানদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারলো না পাকিস্তান।
শারজাহ ক্রিকেট মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক শাদাব খান। ব্যাট করতে নামার পর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। ৬ রান করে বিদায় নেন মোহাম্মদ হারিস। আবদুল্লাহ শফিকি কোনো রান না করেই ফিরে যান।
সিয়াম আউব আউট হলেন ১৭ রান করে। ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তৈয়ব তাহির। আজম খান কোনো রানই করতে পারেননি। অথচ বাংলাদেশের বিপিএল এবং পাকিস্তানের পিএসএলে সেঞ্চুরিও রয়েছে তার কয়েকটি। ইমাদ ওয়াসিমের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ১৮ রান।
শাদাব খান ১২ রান করে আউট হন। পরের ব্যাটারদের আর কেউ দুই অংকের ঘরই স্পর্শ করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৯২ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। আফগানদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ফজল হক ফারুকি, মুজিব-উর রহমান এবং মোহাম্মদ নবি। ১টি করে উইকেট নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নাভিন-উল হক, রশিদ খান।
অল্প রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় আফগানরা। ৪৫ রানের মধ্যেই গুটিয়ে যায় তাদের ৪ উইকেট। ওপেনার ইবরাহিম জাদরান ৯ রানে, রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১৬ রানে আউট হয়ে যান। গুলবাদিন নাইব ২ বল খেলে শূন্য রানে আউট হয়ে যান। করিমে জানাত আউট হন ৭ রান করে।
তবে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেপটার মোহাম্মদ নবি এবং নাজিবুল্লাহ জাদরানই আফগানদের জয় এনে দেন। দুজন গড়েন ৪৯ বলে ৫৩ রানের জুটি। জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা দুজন। ৩৮বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ নবি এবং ২৩ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন নজিবুল্লাহ জাদরান।