সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে লেনদেনে বেশ ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে ক্রেতা সংকটে পড়ে একশোর বেশি প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩০ কোটি টাকা।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঋণাত্মক প্রবণতা প্রথম আধাঘণ্টা অব্যাহত থাকে।
তবে সাড়ে ১০টার পর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসে। এতে সূচক ঋণাত্মক অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৪৮ মিনিটে ডিএসইতে ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮টির। আর ১২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এরমধ্যে ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে ১০২টি প্রতিষ্ঠানের। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দিনের সর্বনিম্ন দামে বিপুল বিক্রির আদেশ আসছে। তবে ক্রেতা না থাকায় যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট আছে তারা তা বিক্রি করতে পারছেন না।
এরপরও ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ২ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে দশমিক ৯৪ পয়েন্ট। এসময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৫ কোটি দুই লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ১০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে পাঁচটির, কমেছে ১১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ছয়টির।