উচ্চ কোলেস্টেরল হৃৎপিণ্ডের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা। এটি হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। খারাপ খাদ্যাভ্যাস ও বসে থাকা জীবনযাপনই এর প্রধান কারণ।

কোলেস্টেরল হলো একটি চটচটে, মোমের মতো পদার্থ যা রক্তনালিতে জমা হয় ও সেখানে প্লাক তৈরি করতে পারে।

আরও পড়ুন: করোনার নতুন উপধরন ‘এক্সবিবি ১.১৬’ কতটা মারাত্মক?

শরীরে ভালো ও খারাপ দুই ধরনেরই কোলেস্টেরল থাকে। শরীরের সুস্থতার জন্য যেমন ভালো কোলেস্টেরল প্রয়োজন, তেমনই খারাপ কোলেস্টেরল স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক ও মারাত্মক হতে পারে।

অনিয়ন্ত্রিত উপায়ে কোলেস্টেরল বৃদ্ধিকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় এথেরোস্ক্লেরোসিস। যা হৃদরোগ, স্নায়ুর সমস্যা, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়ায়।

কীভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন?

অনেকে কোলেস্টেরল কমাতে স্ট্যাটিন বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই ওষুধ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। তাই এই ওষুধগুলো এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও ব্যায়াম করা জরুরি।

আরও পড়ুন: এক ফলেই কমবে জয়েন্টের ব্যথা, ভালো থাকবে হার্ট-চোখ

কোলেস্টেরল কমানোর কিছু ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক প্রতিকার থাকলেও তার মধ্যে একটি সহজলভ্য উপাদান হলো আমলা। চলুন জেনে নেওয়া যাক আমলা কীভাবে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে।

আমলার পুষ্টিগুণ ও গুণাবলী

আমলার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এতে উপস্থিত ভিটামিন সি। এছাড়া এই টক ফল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও খনিজের ভাণ্ডার। ধারণা করা হয়, ১০০ গ্রাম আমলায় ২০টি কমলালেবুর মতো ভিটামিন সি থাকে।

এটি আয়ুর্বেদে হাজার বছর ধরে বিভিন্ন সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে চিনির পরিমাণ খুবই কম ও ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।

আরও পড়ুন: এসি কেনার আগে চেক করুন বিশেষ ৪ সুবিধা আছে কি না

আমলকি কোলেস্টেরল কমায়

বিএমসি’তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, একদল রোগীকে ১২ সপ্তাহের জন্য দিনে দু’বার ৫০০ মিলিগ্রাম আমলকির রস ও কিছু ক্যাপসুল দেওয়া হয়েছিল।

এরপর গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেন তাদের রক্তে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমে গিয়েছিল।

ঘামও হতে পারে কঠিন রোগের লক্ষণ, বুঝবেন যেভাবে

কোলেস্টেরল কমাতে আমলকির রস কীভাবে খাবেন?

গবেষকরা রোগীদের প্রতিদিন প্রায় এক কাপ আমলকির রস পান করতে দেন। তবে আমলকি কাঁচাও খেতে পারেন। আমলকির রস খুব টক, তাই এর স্বাদ বাড়াতে আপনি এর সঙ্গে কিছু মধু ও কালো লবণ মেশাতে পারেন।

আমলকির অন্যান্য উপকারিতা

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি আমলকি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, হজমশক্তির উন্নতি, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালীকরণ, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতেও সাহায্য করে।