মেঝেতে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকের মধ্যেই আছে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, মেঝেতে ভালো ঘুম হয়। এছাড়া শরীরের ভঙ্গি উন্নত করতে এমনকি পিঠ বা কোমরের ব্যথা কমাতে মেঝেতে ঘুমানো উপকারী। তবে এটি কি বৈজ্ঞানিকভাবে বৈধ?
যদিও মাটিতে ঘুমানোর সম্ভাব্য উপকারিতা নিয়ে এখনো কোনো গবেষণা করা হয়নি। তবে মেঝেতে ঘুমানোর সম্ভাব্য কিছু সুবিধার পাশাপাশি এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে। চলুন তবে তা জেনে নেওয়া যাক কাদের মাটিতে ঘুমানো উচিত নয়।
আরও পড়ুন: রাতে বারবার ঘুম ভাঙে যে ৫ কারণে
মেঝেতে ঘুমানোর উপকারিতা
পিঠে ব্যথা কমায়
অনেকে দাবি করেন, মেঝেতে ঘুমালে পিঠের ব্যথা সহজেই কমে ও রাতে আরও ভালো ঘুম হয়। কিছু গবেষণাও এ বিষয়টি প্রমাণ করেছে।
এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, মাঝারি গদিতে ঘুমের আরাম বাড়ায়, ঘুমের মান উন্নত করে ও মেরুদণ্ডের সারিবদ্ধতা উন্নত করে। যদিও মেঝেতে ঘুমানোর গবেষণা ও যাচাই-বাছাই ততটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হয়নি।
ভঙ্গি উন্নত হতে পারে
পর্যবেক্ষণমূলক প্রমাণ ইঙ্গিত দেয়, মেঝেতে ঘুমানোর মাধ্যমে ভঙ্গির উন্নতি ঘটে। এই দাবির কিছু বৈধতা আছে। রিপোর্ট বলছে, মেঝের দৃঢ়তা মেরুদণ্ডকে সোজা রাখে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন উপধরন ‘এক্সবিবি ১.১৬’ কতটা মারাত্মক?
যাদের দুর্বল ভঙ্গি বা মেরুদণ্ডের ব্যাধি যেমন স্কোলিওসিস বা কিফোসিস আছে, তাদের মেঝেতে ঘুমানোর আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মেঝেতে ঘুমানোর অভ্যাস ক্ষতিকরও হতে পারে। যেমন-
অ্যালার্জি বাড়ায়
বাড়ির অন্যান্য পৃষ্ঠের তুলনায় মেঝেতে প্রায়শই বেশি ধুলাবালি ও ময়লা জমে। বিশেষ করে কার্পেটের উপর ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে এর থেকে হাঁচি, সর্দি, চুলকানি, চোখ লাল হওয়া, শ্বাসকষ্ট ও কাশির মতো অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে।
পিঠে ব্যথা বাড়তে পারে
কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, মাটিতে ঘুমালে পিঠের ব্যথা কমে যায়। আবার কিছু গবেষণা বলছে, শক্ত পৃষ্ঠ মেরুদণ্ডের জন্য তার স্বাভাবিক বক্ররেখা বজায় রাখা কঠিন করে তোলে।
আরও পড়ুন: হাঁটার ধরনে যে পরিবর্তন ফ্যাটি লিভারের ইঙ্গিত দেয়
সর্দি-কাশি বাড়ে
গরমে ঠান্ডা মেঝেতে ঘুমালে প্রশান্তি পেতে পারেন, তবে শীতের মেঝেতে ঘুমানোর কারণে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এক্ষেত্রে শরীরের তাপ দ্রুত কমাতে পারে ও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হয়।
যাদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা বেশি তাদের মেঝেতে না ঘুমানোই ভালো। এছাড়া বয়স্ক ব্যক্তিদেরও মেঝেতে না ঘুমানো উচিত নয়।
গর্ভাবস্থায় মেঝেতে ঘুমানো কি নিরাপদ?
গর্ভাবস্থায় মেঝেতে ঘুমানো সাধারণত নিরাপদ বলে মনে করা হয়। অনেক গর্ভবতী নারীরা যখন মেঝেতে ঘুমান তখন সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে গর্ভাবস্থায় মেঝেতে ঘুমানোর আগে আপনার চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।