গাছে গাছে এখন ছোট ছোট কাঁচা কাঁঠাল দেখেছেন নিশ্চয়ই অনেকে। কাঁচা অবস্থায় এঁচোড় আর পাকলে হয় কাঁঠাল। কাঁঠাল খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করেন।
আবার কাঁচা কাঁঠাল বা এঁচোড়ের বাহারি পদ খেতেও পছন্দ করেন অনেকেই। কাঁঠাল ফল হিসেবে খাওয়া হয়, আর এঁচোড় সবজি হিসেবে। তবে এঁচোড় কি কেবল স্বাদের জন্য খাওয়া হয়?
আরও পড়ুন: যে ৬ লক্ষণে বুঝবেন ফুসফুস অকেজো হতে চলেছে
পুষ্টিবিদদের মতে, এঁচোড়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এ বিষয়ে ভারতের সেলিব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকার জানান, কাঁঠাল একটি সুপারফুড।
ওজন কমানো থেকে শুরু করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কাঁঠালে থাকা পুষ্টিগুণ। জেনে নিন কাঁচা কাঁঠাল বা এঁচোড় খেলে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি মিলবে-
রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা কাঁঠালে ২০৬ গ্রাম ও কাঁঠালের বীজে ৬.৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এই প্রোটিন দেহের গঠনে সাহায্য করে। কাঁঠালে থাকে শ্বেতসার। যারা মাছ-মাংসের প্রোটিন গ্রহণ করেন না, তারা এই এঁচোড় খেতে পারেন।
আরও পড়ুন: নারীদের শরীরে ডায়াবেটিসের যে ৬ লক্ষণ দেখা দেয়
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাংস খেলে যে উপকার পাওয়া যায়, তার অনেকটাই পাওয়া যায় এঁচোড় খেলেও। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী এঁচোড়।
ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
পুষ্টিবিদদের মতে, এঁচোড় শুধুই স্বাদের জন্য খাওয়া হয় না। হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে এর জুড়ি মেলা ভার।
রক্তে যে খারাপ কোলেস্টেরল আছে তা কমাতে সাহায্য করে এঁচোড়। এছাড়া কাঁঠাল ফাইবারসমৃদ্ধ ফল হওয়ায় হজমশক্তি বাড়ায় ও পেট পরিষ্কার রাখে।
আরও পড়ুন: যে কারণে অনেকেই টের পান না তারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে এঁচোড়। এতে থাকা ভিটামিন এ ও সি থাকে, যা বহু রোগ দূরে রাখতে সাহায্য করে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই নিয়মিত খাবারের তালিকায় যদি এঁচোড় রাখতে পারেন তাহলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে অনেকটাই।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতেও এঁচোড়ের জুড়ি মেলা ভার। এর মধ্যে যে পটাশিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, তা বিভিন্ন রকমের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।