অস্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চার অভাবে বাড়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা। যা হৃদরোগ, শিরা ও ধমনী রোগ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
কোলেস্টেরল হলো একটি মোমযুক্ত, আঁঠালো পদার্থ যা রক্তের শিরায় পাওয়া যায়। বিভিন্ন খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আবার লিভারও তৈরি করে কোলেস্টেরল। মূলত ২ ধরনের কোলেস্টেরল আছে- ভালো ও খারাপ কোলেস্টেরল।
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়ে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি-
সিডিসি’র তথ্য মতে, যারা স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার বেশি খায় তাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। যা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ।
ঘি, মাখন, কেক, মাংস, বিস্কুট, পনির ইত্যাদি খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তা এগুলো খাওয়া কমিয়ে আনুন।
এর পাশাপাশি যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন না তাদের রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যায় অনেক। সিডিসি অনুসারে, স্থূলতা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, আর এ কারণেই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও।
এমনকি ধূমপানের কারণেও রক্তনালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও এতে চর্বি জমে। ধূমপান উচ্চ-ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন কমাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় দ্বিগুণ।
এছাড়া কিছু লোকের পারিবারিক হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া (এফএইচ) নামে একটি বংশগত জেনেটিক অবস্থা থাকে।
খুব কম ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরলের কারণে অল্প বয়সেই এই অবস্থা শুরু হয়। চিকিৎসা না করা হলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এটি আরও খারাপ হয়।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেও কিন্তু কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়ে। বয়স বাড়লে শরীর রক্ত থেকে কোলেস্টেরল অপসারণ করতে পারে না সহজে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৫৫ বছর বয়সী পুরুষদের তুলনায় নারীদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে।