হেপাটাইটিস বি একটি গুরুতর ভাইরাল সংক্রমণ, যা লিভারে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এই ভাইরাসের কারণে দীর্ঘস্থায়ী লিভারের ব্যাধিতে ভুগতে হতে পারে। এর থেকে লিভার ক্যানসার কিংবা সিরোসিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হেপাটাইটিস বি ভাইরাস রক্ত, বীর্য বা অন্যান্য শরীরের তরলগুলোর মাধ্যমে একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আরও পড়ুন: কোন হেপাটাইটিস বেশি বিপজ্জনক, এ, বি নাকি সি?

হেপাটাইটিস বি ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম এক কারণ হলো যৌনমিলন। আপনি যদি সংক্রামিত কারও সঙ্গে অনিরাপদ যৌনমিলন করেন, তাহলে আপনার শরীরেও হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ছড়াতে পারে।

তবে অনেকেই প্রাথমিক অবস্থায় হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ অবহেলা করেন, ফলে পরবর্তীসময়ে তা আরও গুরুতরভাবে প্রকাশ পায়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক হেপাটাইটিস বি ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে ও লিভারের ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন-

জ্বর

হেপাটাইটিস লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে, ফলে হালকা জ্বর হতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্লান্তি, মাথাব্যথা এমনকি জয়েন্টে ব্যথাও অনুভব করতে পারেন। তবে হেপাটাইটিস বি ছাড়াও জ্বর বিভিন্ন কারণে হতে পারে।

আরও পড়ুন: হেপাটাইটিস কি মারাত্মক ব্যাধি? জেনে নিন এর ধরন ও লক্ষণ

পেটে ব্যথা

মায়ো ক্লিনিকের মতে, দীর্ঘস্থায়ী এইচবিভি সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তিও পেটে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এই ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার প্রায় ১-৪ মাস পরে লক্ষণটি দেখা দিতে পারে।

গাঢ় প্রস্রাব

হেপাটাইটিস বি ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত ব্যক্তিদের গাঢ় রঙের প্রস্রাব হতে পারে। তাই প্রস্রাবের রং দেখে আপনি উদ্বিগ্ন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরও পড়ুন:যেসব কারণে হেপাটাইটিস হতে পারে, জেনে নিন করণীয়

বমি বমি ভাব ও বমি

হেপাটাইটিস বি লিভারের প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। ফলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে বমি বমি ভাব, বমি ও ক্ষুধা কমে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

হলদেটে ত্বক

হেপাটাইটিস বি থেকে লিভারের প্রদাহের কারণে বিলিরুবিন বেড়ে যেতে পারে। ফলে জন্ডিসের কারণে ত্বক, চোখ হলুদ হয়ে যেতে পারে। বিলিরুবিন রক্তে একটি রাসায়নিক, যেটি বেড়ে গেলে ত্বক হলুদ হয়ে যায়।