তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তুরস্কের স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
এদিকে, ভূমিকম্পের ফলে বহু ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে। ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছেন অনেকে। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান দ্রুত উদ্ধার কাজের নির্দেশ দিয়েছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট টুইটারে বলেছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ‘তাৎক্ষণিকভাবে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে, পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকারী দল।’
তিনি টুইটারে আরও লেখেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এবং কম ক্ষতি হয় সেভাবে কাজ করছি। সবাইকে একসঙ্গে এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার আশাও ব্যক্ত করেন তিনি। যদিও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। এসময় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন অনেকে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ বলছে, শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার।
ভূমিকম্পের ফলে তুরস্কের কমপক্ষে ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওসমানিয়া শহরের গভর্নর ৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে, সানলিউরফাতে ১২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন সেখানকার গভর্নর সালিহ আয়হান।
এই দুটি শহরের অন্তত ৫০টি ভবন ধসে পড়েছে। এ ছাড়া, মালতয়া, দিয়ারবাকির ও মালত্যা প্রদেশে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে।
৭ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসেও। ভবন ধসের ঘটনাও ঘটেছে সিরিয়ায়ও।