বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রে আসছেন ভোটাররা।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচন উপলক্ষে দুই আসনে তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে ও ৩৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করছেন। পাশাপাশি ১৪ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ১৭ টহল দল মোতায়ন আছে। এছাড়াও ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাড়ে চার হাজার নিরাপত্তাকর্মী কাজ করছেন।

আরও পড়ুন: নেতাকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে গেলেই ব্যবস্থা নেবে বিএনপি

জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতি ভোটকেন্দ্রে গুরুত্ব বিবেচনায় নিরাপত্তার জন্য তিনজন পুলিশ সদস্য ছাড়াও এপিবিএন, আনসার ভিডিপিসহ ১৭ জন নিরাপত্তকর্মী দায়িত্বে আছেন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে ও নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের স্ট্রাকিং ফোর্স, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বগুড়া-৪ আসনের ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন মোট ৯ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোট থেকে জাসদ প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। এর বাইরে পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন। যাদের মধ্যে কুড়াল প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাবেক বিএনপি কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল। আর স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোশফিকুর রহমান কাজল।

আরও পড়ুন: বগুড়ায় ২ আসনের সব কেন্দ্রে পৌঁছেছে ভোটের সরঞ্জাম

বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে মোট প্রার্থী ১১ জন। পাঁচজন আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এদের মধ্যে ট্রাক প্রতীকের আব্দুল মান্নান আকন্দ সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা। এছাড়াও উপনির্বাচনে এই দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১১২টি। আর ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭৭৭টি। এর মধ্যে অস্থায়ী কক্ষ আছে ৪২টি।

এই আসনে মোট প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আছেন ১১২ জন। সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ৭৭৭ এবং পোলিং অফিসার থাকবে এক হাজার ৫৫৪ জন।

আরও পড়ুন: মাঠে নেই বিএনপি, আসন কবজায় নিতে মরিয়া আওয়ামী লীগ

আর বগুড়া-৬ (সদর) আসনে মোট ভোটার রয়েছেন চার লাখ ১০ হাজার ৭৪৩ জন। ভোটকেন্দ্র হবে ১৪৩টি ও কক্ষ থাকবে এক হাজার ১৭টি। এ আসনে ১৪৩ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, এক হাজার ১৭ সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও দুই হাজার ৩৪ জন পোলিং কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছেন ।