বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সমস্যাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীরের বিভিন্ন গুরুতর সব অঙ্গে এর প্রভাব পড়ে।
ডায়াবেটিস কী? এই রোগ সম্পর্কে যা জানা জরুরি
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস দ্বারা পরিচালিত এক মার্কিন সমীক্ষা অনুসারে, ডায়াবেটিস চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। যা ঝাপসা দৃষ্টি থেকে একসময় অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।
নখ দেখেই বুঝে নিন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কি না
এ কারণে প্রথম থেকেই ডায়াবেটিস রোগীর চোখের যত্ন নিতে হবে। এতে অন্ধত্বের ঝুঁকি কমবে। ডায়াবেটিসের কারণে চোখে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি হয়।
সময়মতো ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি শনাক্ত ও চিকিৎসা করা না হলে ডায়াবেটিস রোগীর মারাত্মক বিপদ হতে পারে। এজন্য অবশ্যই নিয়মিত চোখ স্ক্রিনিং করাতে হবে।
ডায়াবেটিস বেড়েছে কি-না বুঝে নিন সকালের ৫ লক্ষণে
এ বিষয়ে ভারতের শার্প সাইট আই হাসপাতালের সিনিয়র রেটিনা কনসালট্যান্ট ডা. সিদ্ধার্থ সাইন জানান, প্রায়ই অস্পষ্ট দৃষ্টি বা ঝপসা দেখার সমস্যা ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।
ধীরে ধীরে এই সমস্যা বাড়তে থাকে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়লে চোখের লেন্স শরীরের বিভিন্ন টিস্যুর মতোই প্রচুর পরিমাণে তরল টেনে নেয়। যা ফোকাস করার ক্ষমতাকে নষ্ট করে।
ডায়াবেটিস রোগীরা ফুলকপি-ব্রোকলি কেন খাবেন?
তিনি আরও জানান, ডায়াবেটিসের কারণে আমাদের রেটিনায় নতুন রক্তনালি তৈরি হতে পারে। যদি নতুন রক্তনালিগুলো চোখের বাইরে তরলের স্বাভাবিক প্রবাহে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে চোখের গোলায় চাপ তৈরি হতে পারে।
ফলে গ্লুকোমার কারণে অপটিক নার্ভের ক্ষতি হয়। কারণ রক্তে অত্যধিক চিনির কারণে ক্ষুদ্র রক্তনালিগুলো বাধাগ্রস্ত হয় ও রেটিনা তার রক্ত সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
এক সবজিতেই নিয়ন্ত্রণে আসবে ডায়াবেটিস!
এছাড়া কিছু উপসর্গ যেমন- চোখের সামনে ভাসমান কালো দাগ দেখা বা অন্ধকারে কোনো রং চোখে ভেসে ওঠা ইত্যাদি লক্ষণ মোটেও সুবিধার নয়। এটি হতে পারে ডায়াবেটিসের লক্ষণ।
এ ধরনের পরিবর্তনগুলো যদি চিকিৎসা ছাড়াই চলতে থাকে তাহলে রোগীর স্থায়ী অন্ধত্ব ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
নাস্তায় যেসব খাবার খেলে বেড়ে যায় ডায়াবেটিস
মার্কিন সমীক্ষা অনুসারে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও চোখ সুস্থ রাখার সেরা উপায় হলো-
১. নিয়মিত রক্তের গ্লুকোজ, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল পরিমাপ করা ও নিয়ন্ত্রণে রাখা
২. ধূমপান ত্যাগ করা ও
৩. বছরে অন্তত একবার হলেও চোখ পরীক্ষা করা।