একাদশ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের ষষ্ঠ সভা আজ (বৃহস্পতিবার)। রাত ৮টায় জাতীয় সংসদের সরকারি দলের সভা কক্ষে এই সভা হবে। এতে সংসদীয় দলের নেতা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সব সদস্য অংশ নেবেন।
জানা গেছে, এই বৈঠক থেকেই সংসদ উপনেতার নাম প্রস্তাব করা হতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী, এই পদের জন্য কোনো ভোটাভুটি দরকার হয় না। সংসদ নেতা তার মতটি স্পিকারকে জানান। স্পিকার রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠান এবং বাকি পক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এই পদের জন্য কোনো শপথ নেওয়ার দরকার হয় না। তবে সংসদ উপনেতা মন্ত্রীর পদমর্যাদা ও সুবিধা পেয়ে থাকেন।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আজকের বৈঠকে সংসদ উপনেতার পদে নাম চূড়ান্ত করবেন সংসদীয় দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন > সংসদ উপনেতা হচ্ছেন মতিয়া চৌধুরী!
তবে কে হচ্ছেন সংসদ উপনেতা? এমন আলোচনা ছিল সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর থেকেই। সব জল্পনার অবসান করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। গেল বছরের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া পদক ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রসঙ্গক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একজন নারীকেই সংসদ উপনেতা করবো।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর স্পষ্ট হয়ে গেছে, জাতীয় সংসদ উপনেতা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। যদি তার আগে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নামও আলোচনায় ছিল।
সংসদীয় আইন অনুযায়ী সংসদ উপনেতা নিয়োগে বাধ্যবাধকতা নেই। বিএনপি তাদের সময়ে এ পদে কাউকে মনোনীত করেনি। তবে আওয়ামী লীগ বরাবরই তাদের সিনিয়র কোনো নেতাকে দিয়ে এ পদটি অলঙ্কৃত করেছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমে জিল্লুর রহমানকে সংসদ উপনেতা নির্বাচিত করে আওয়ামী লীগ। তিনি ৯৬ আমলেও দায়িত্বে ছিলেন। পরে তিনি শপথ নেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে। সংসদ উপনেতা হন সাজেদা চৌধুরী। টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় তিনি ছিলেন সংসদ উপনেতা। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী গত ১১ সেপ্টেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য হয় পদটি।