পৌষের শেষের দিকে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো খুলনাতেও বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশার কারণে জেলার অধিকাংশ সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধি। এতে করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।

খুলনা আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যমতে, কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। দিনের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম রাতের তাপমাত্রা। এ অবস্থা বিরাজ করবে আরও কয়েকদিন।
প্রচণ্ড শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। শীতে হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে।

খুলনা শিশু হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ভর্তি শতকরা ৮০ শতাংশ রোগীই ঠান্ডাজনিত রোগে (সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট) আক্রান্ত। এ রোগগুলো খুব একটা ছোঁয়াচে না হলেও অন্যান্য রোগীদের আলাদা রাখা হয় তাদের কাছ থেকে। অধিকাংশ রোগীকে দেওয়া হয়েছে অক্সিজেন ও নেবুলাইজার। ফটো থেরাপিও দিতে হচ্ছে অনেককে।

খুলনা শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আল আমিন রাকিব বলেন, খুলনা শিশু হাসপাতালে ২৭৫ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে ২৭৫ জন। এখানে এখন আর রোগী ভর্তি করার মতো শয্যা নেই। রোগী আসলে তাদের খুলনা জেনারেল অথবা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন কয়েকশ শিশু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ হাসপাতালের চিকিৎসক শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মুনির হোসেন বলেন, এ সময়টা শিশুদের জন্য খুবই খারাপ। যথা সম্ভব তাদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুদের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করান। এটা ঠিক না। শুধু ঠান্ডার কারণে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে না। একই সঙ্গে আরও রোগে শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে। তাই ঠান্ডা লাগলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, একদিকে সূর্যের তাপ নেই, অন্যদিকে উত্তর দিক থেকে বাতাসের প্রবাহ অব্যাহত থাকায় জেঁকে বসেছে শীত। আরও দুই-তিনদিন শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকবে।