ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ কোর্টের তিন আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব ও জেলা জজ কোর্টের বিচারকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। প্রধান বিচারপতির কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতের জেলা জজ এবং অন্যান্য বিচারকরা কমপ্লেন করেছেন। ভিডিও পাঠিয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে, একজন বিচারকের প্রতি তাদের আচরণ খুব খারাপ ছিল, সেটা আমি শুনেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একটা কনটেন্ট রুল ইস্যু করেছে। এটা এখন বিচারাধীন ব্যাপার। আদালত বিচার করবেন।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে নিজ সংসদীয় এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের জামিন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, কোনো মামলা চলাকালীন সরকারের কোনো মন্ত্রণালয় আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ বা ইন্টারফেয়ার করে না। তিনি বলেন, ‘মামলা আদালতে চলছে। আদালত স্বাধীনভাবে তাদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আমি অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে জেনেছি, হাইকোর্টে বিএনপি নেতাদের যে জামিন দেওয়া হয়েছিল সেখানে কিছু আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। সেজন্য তিনি আপিল বিভাগে গেছেন।’
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা, কসবা সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মামলাকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিতণ্ডা হয়। এরই জেরে বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি।এরই মধ্যে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ কয়েকজন আইনজীবীর অসৌজন্যমূলক আচরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) আক্কাস আলী ও আইনজীবী জুবায়ের আহমেদকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদালত অবমাননার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত।