কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। তবে জেলায় হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে। সকাল ১০টায় সূর্যের দেখা মেলেনি। পড়ছে ঘন কুয়াশা। একই সঙ্গে বইছে হিম বাতাস।

এ অবস্থায় সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে। ফলে দীর্ঘ লাইন ছাড়াই ভোট দেওয়া যাচ্ছে। কিছু কেন্দ্র ফাঁকাও দেখা গেছে।

সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন রহিমা বেওয়া (৫৬)। তিনি বলেন, কনকনে শীত আর কুয়াশায় লোক কম। এ সুযোগ ভোট দিতে চলে এসেছি।

আব্দুর রহিম নামের সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ বলেন, ‘ভোট দিতে এসে শীতে কাবু হয়ে গেলাম। কেন্দ্রে কোনো ভিড় নেই।’

ভোটার সংশ্লিষ্টরা জানান, রাত থেকেই কনকনে শীত পড়েছ। তাই ভোটাররা আসতে দেরি করছেন।

গত বছরের অক্টোবরে অনিয়মের কারণে এ আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তদন্ত শেষে ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

দায়িত্বরত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব বলেন, নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রেই আছে সিসি ক্যামেরা। ঢাকায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয় এবং গাইবান্ধা জেলা শহরে রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে সার্বক্ষণিক ভোট পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাব, বিজিবি, স্ট্রাইকিং ফোর্স, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল টিম কাজ করছে। কেন্দ্রেগুলোতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ১৪৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৯৫২ জন সহকারী প্রিসাডিং কর্মকর্তা ও ১ হাজার ৯০৪ জন পোলিং কর্মকর্তা।

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তবে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী (আপেল মার্কা) নাহিদুজ্জামান নিশাত উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।