ক্যানসারের নাম শুনতেই সবাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তবে মারণ এই ব্যাধি শরীরে বাসা বাঁধলে প্রথমদিকে তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। যখনই ক্যানসার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে প্রভাব ফেলে তখনেই লক্ষণ গুরুতরভাবে প্রকাশ পায়।
যদিও কিছু সাধারণ লক্ষণ আগে থেকেই দেখা দিতে পারে, তবে অধিকাংশ মানুষেই তা অবহেলা করেন। ঠিক তেমনটিই ঘটে লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হলে। তবে প্রথমদিকেই লক্ষণ টের পেয়ে ক্যানসার শনাক্ত করলে ও সঠিক চিকিৎসা নিলে দ্রুত সুস্থতা মেলে।
আসলে লিভারের কোষে শুরু হয় ক্যানসার গ্রোথ। এরপর তা ধীরে ধীরে পুরো লিভারে ছড়ায়। এমনকি শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও ছড়িয়ে যেতে পারে এই রোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিরভাগ মানুষ প্রথমদিকে রোগের লক্ষণ উপেক্ষা করেন। এর থেকে জটিলতা বাড়তে থাকে।
লিভার ক্যানসারের লক্ষণ কী কী?
১. হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
২. ক্ষুধা কমে যাওয়া
৩. পেটের উপরের দিকে ব্যথা
৪. বমি বমি ভাব বা বমি
৫. ক্লান্তি ও দুর্বলতা
৬. পেট ফুলে থাকা
৭. হলদে ত্বক
৮. হলুদ চোখ
৯. মলের রং সাদাটে হওয়া ইত্যাদি।
এসব লক্ষণ দেখলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রথমদিকে ক্যানসার কিংবা লিভারের ব্যাধি শনাক্ত করা গেলে পরবর্তী সময়ে চিকিৎসা নিলে দ্রুত সুস্থতা মিলবে।
লিভার ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি কাদের?
১. এইচবিসি বা এইচসিভি ইনফেকশন আছে
২. লিভার সিরোসিস হয়েছে
৩. জন্মগত লিভারে ব্যাধি
৪. ডায়াবেটিস
৫. নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ
৬. অতিরিক্ত মদ্যপান ইত্যাদি।
কীভাবে লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমাবেন?
মদ্যপান এই লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়ায়। এজন্য মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন। যারা স্থূলকায় তারা ওজন নিয়ন্ত্রণে আনুন, এর থেকে ফ্যাটি লিভার হয়।
যা পরবর্তী সময়ে লিভার ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তাই ওজন ঠিক রাখতে হবে। এর পাশাপাশি শরীরচর্চা ও লিভার ভালো রাখে এমন সব পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।