খসখসে ও রুক্ষ ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে গ্লিসারিন দুর্দান্ত কাজ করে। মুহূর্তেই ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এই উপাদান। এ কারণেই শীত আসতে গ্লিসারিনের ব্যবহার বেড়ে যায়।
তবে ত্বকের যত্নে গ্লিসারিন কতটা উপকারী, তা হয়তো অনেকেরই অজানা। অনেকেরই ভুল ধারণা আছে, গ্লিসারিন ব্যবহারে ত্বক কালচে হয়ে যায় কিংবা আরও রুক্ষ হয়ে পড়ে! আসলে এ ধারণে ঠিক নয়।
বরং গ্লিসারিন ব্যবহারের ফলে ত্বকে মেলে নানা উপকারিতা। শুধু শীতকালে খসখসে ত্বকে আর্দ্রতা ফেরায় না বরং অন্যান্য অনেক গুণ আছে।
জেনে নিন গ্লিসারিনের নানা গুণ সম্পর্কে-
>> প্রতিদিন গ্লিসারিন ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্র থাকে। ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও কোমল। ত্বক আর্দ্র থাকায় ত্বকে বলিরেখা কম পড়ে।
>> গ্লিসারিন তেলমুক্ত ও নন কমেডোজেনিক। তাই এটি কোনোভাবেই লোমকূপ বন্ধ করে না। তাই গ্লিসারিন ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা অনেকটাই কমে।
>> গ্লিসারিনের কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। নিশ্চিন্তে এটি ব্যবহার করা যায়। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিসট্রেশন বা এফডিএ থেকেও গ্লিসারিনকে সেফ বা সুরক্ষিত আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
>> ত্বকের বিভিন্ন ক্ষত বা ফুসকুড়িও দ্রুত সারিয়ে তোলে গ্লিসারিন। ত্বকের উপর একটি সুরক্ষাকবচ তৈরি করে এটি।
বিভিন্ন প্রসাধনী ও সাবানেও গ্লিসারিন মেশানো হয়। যাতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। তবে কোন কোন প্রসাধনীতে অবশ্যই গ্লিসারিন থাকা উচিত?
>> যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তারা গ্লিসারিনযুক্ত ক্লিনজার নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। এমন ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ত্বক কম শুষ্ক হয়।
>> টোনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। যে কোনো ত্বকের জন্যই গ্লিসারিন দেওয়া টোনার ভালো। গ্লিসারিনযুক্ত টোনার ব্যবহারে ত্বকের অতিরিক্ত তেল ব্যালেন্স করে দেয় গ্লিসারিন।
>> এ ছাড়াও যেসব সানস্ক্রিন, ময়েশ্চারাইজার, ফেস মাস্ক ও সাবানে গ্লিসারিন থাকলে সেগুলো নিঃসন্দেহে ত্বকের জন্য ভালো।