শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়। তবে বেলা ১১টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে নেতাকর্মীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সম্মেলনে ঢুকতে হাজারো নেতাকর্মী লাইনে অপেক্ষা করছেন।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, সম্মেলন উদ্বোধনের পরও জাতীয় তিন নেতার মাজার, রমনা কালীমন্দির, টিএসসি ফটকে হাজারো নেতাকর্মী সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে আছেন। এসব ফটক দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে সম্মেলন স্থলে ঢুকছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তবে এখনো যত নেতাকর্মী বাইরে অপেক্ষা করছেন, সম্মেলনস্থলে ঢুকতে তাদের আরও অন্তত আধাঘণ্টা অপেক্ষা করা লাগতে পারে বলে মনে করছেন ফটকগুলোতে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে সারাদেশ থেকে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর এবং লাখোধিক নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তারা জানান, সম্মেলনে প্রবেশের জন্য সকাল ৭টায় সম্মেলনে ঢোকার গেট খুলে দেওয়া হয়। তবে শুরুতে তেমন চাপ ছিল না। সকাল সাড়ে নয়টার পর অধিকাংশ নেতাকর্মী এক সঙ্গে ঢোকার চেষ্টা করেন। তখনই জটলার সৃষ্টি হয়। তবে সবাই যেন শৃঙ্খলার সঙ্গে সম্মেলনস্থলে ঢুকতে পারেন, সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ থেকে সম্মেলনে অংশ নিতে এসেছেন আবু তাহের। সকাল নয়টায় টিএসসি ফটকে আসেন তিনি। কিন্তু এই ফটকে বেশি চাপ থাকায় রমনা কালীমন্দিরের ফটকে যান। সেখানে গিয়েও অন্তত ২০০ জনের পেছনে লাইনে দাঁড়ান। আলাপকালে আবু তাহের বলেন, সারা দেশ থেকেই সম্মেলনে নেতাকর্মীরা আসছেন। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ালেও সবার মধ্যে উৎসাহ কাজ করছে। সবাই দলীয় শ্লোগান দিচ্ছেন। এখন দেরি হলেও সম্মেলনে ঢুকবেন বলে জানান তিনি।

পটুয়াখালী থেকে শুক্রবার রাতের লঞ্চে ঢাকা আসছেন জেলা আওয়ামী লীগের ২৬ জন নেতাকর্মী। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক প্রটোকলে আগে সম্মেলনে ঢুকে গেছেন। কিন্তু তার সঙ্গে থাকা বাকিরা সকাল ১০টা পর্যন্ত বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আহসান হাবিব বলেন, সকালে লঞ্চ থেকে নেমেই সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় চলে এসেছি। নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ কাজ করছে বলে জানান তিনি।

রমনা কালীমন্দির ফটকে দায়িত্বরত পুলিশের এসআই মাহফুজ আলম  বলেন, সবাই সিরিয়াল অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকছেন। কোনো বিশৃঙ্খলা হচ্ছে না। একটু দেরি হলেও সবাই সম্মেলনে ঢুকতে পারবেন।