ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা এবং বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে চ্যালেঞ্জিং সময়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে সংকট চলছে। এই চ্যালেঞ্জিং টাইমে আমাদের সম্মেলন হবে।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মাঠ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শনের আগে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ করেছি। এখন আমাদের
লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। ২০৪১ সাল পর্যন্ত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, মুক্তিযু্দ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাবো। আমাদের মূল লক্ষ্য উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন চ্যালেঞ্জিং সময়ে পড়েছে উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সংকটে আছি। সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সুসংগঠিত উপস্থিতির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সুসংগঠিত, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ গড়ে তুলতে চাই। আগামী সরকার পরিচালনার জন্য আমরা প্রস্তুত।

কাদের বলেন, সভাপতি আমাদের অপরিহার্য। যিনি (শেখ হাসিনা) সভাপতি তিনি আমাদের ঐক্যের প্রতীক। এই মতের ভিন্ন একজন কাউন্সিলরও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।

তবে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসতে পারে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার জানা মতে দলে সেক্রেটারি হওয়ার মতো ১০ জন অভিজ্ঞ নেতা আছেন। কে হবেন সেটা নেত্রীর ইচ্ছা এবং কাউন্সিলরদের মতামত। সবকিছুর প্রতিফলন ঘটবে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে।

তিনি বলেন, এই সম্মেলনে যে কমিটি হবে এখানে তেমন একটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। নির্বাচনের পর আগাম সম্মেলন হতে পারে। তখন একটা মেজর হিসাব হতে পারে। আপাতত বড় কোনো পরিবর্তনের ব্যাপারে ভাবছি না।

তিনি আরও বলেন, এবারের সম্মেলন ঐতিহাসিক সম্মেলন হবে। সারাদেশে জাগরণের ঢেউ আছে। সম্মেলনে নেতাকর্মীদের ঢল নামবে।

এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।