ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার ( ২১ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর এটি তার প্রথম বিদেশ সফর হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা মার্কিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কংগ্রেসে ভাষণও দিতে পারেন।
তবে এ সফর বা পরিকল্পনার কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
জেলেনস্কির সফরকে ঘিরে নিরাপত্তাজনিত কারণে সময়সূচিতে পরিবর্তনও আনা হতে পারে।
মঙ্গলবার এক চিঠিতে ডেমোক্রেটিক হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি কংগ্রেসের সদস্যদের বুধবার রাতে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে তিনি ওই চিঠিতে শুধু লেখেন, গণতন্ত্রের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদানের লক্ষ্যে অনুগ্রহ করে উপস্থিত থাকবেন।
জেলেনস্কি নিয়মিত রাজধানী কিয়েভে বিদেশি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক সঞ্চালনা করেন। ইউক্রেনের আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে সেনাদের কর্মকাণ্ড পরিদর্শনও করেন। মঙ্গলবারও তিনি বাখমুতে অঘোষিত সফর করেন।
কিয়েভের অফিস থেকে তিনি অকপটে টেলিফোন ও ভিডিও কলের মাধ্যমে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে কথাও বলেন।
তবে এবার কোনো ঘোষণা ছাড়াই যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন তিনি। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্কের গুরুত্বেরও ইঙ্গিত মেলে যেখানে সামরিক সহায়তা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে দেশটি।
যুদ্ধের কারণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আরও তহবিলের জন্য আবেদন করেছেন এবং বলেছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য মাসিক খরচ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর থেকে ইউক্রেনকে সামরিকসহ সব ধরনের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্ররা। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইউক্রেনকে আরও সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেন।