গরুর ভুঁড়ি খেতে কে না পছন্দ করেন। এর স্বাদ সবার মুখেই লেগে থাকে। বিজ্ঞানীদের মতে, গরুর ভুঁড়ি পরিমিত খেলে শারীরে মেলে অনেক পুষ্টিগুণ। এতে থাকে আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, নিয়াসিন, কোলিন, জিংকসহ সেলেনিয়াম। খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত সেলেনিয়াম রাখলে হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্ব ও আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমানো যায়।
আপনিও যদি গরুর ভুঁড়ি ভুনা খেতে পছন্দ করেন, তাহলে ছুটির দিন রাঁধতে পারেন গরুর ভুঁড়ি ভুনা। জেনে নিন সহজ রেসিপি-
উপকরণ
১. ভুড়ি দেড় কেজি
২. তেল পৌনে ১ কাপ
৩. পেঁয়াজ ২ কাপ
৪. আদা/রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ
৫. গরম মশলার গুঁড়া ১ চা চামচ
৬. হলুদ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
৭. মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
৮. ধনে গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
৯. জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
১০. শুকনো বা কাঁচা মরিচ ৪-৫টি
১১. পানি ২ কাপ ও
১২. লবণ স্বাদমতো।
পদ্ধতি
প্রথমে গরুর ভুড়ি ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর একটি প্যানে তেল গরম করে নিতে হবে। মাঝারি আঁচে পেঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা দিয়ে সামান্য কষিয়ে নিন। তারপর একটু পানি দিয়ে নেড়ে একেক করে সব গুঁড়ো মশলাসহ লবণ মিশিয়ে নিন। তারপর ভালো করে নেড়ে হালকা আঁচে ঢেকে কষিয়ে নিতে হবে।
মশলা ভালো করে কষানো হলে, এর মাঝে পরিষ্কার করে রাখা বট বা ভুড়ি দিয়ে ৫-৬ মিনিট বারবার নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিন। এরপর ২ কাপ পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে ডেকে রান্না করুন। কিছুক্ষণ পরপর ঢাকনা উঠিয়ে নেড়ে দিন, যাতে নিচে লেগে না যায়। পানি শুকিয়ে গেলে টালা জিড়া গুঁড়ো ও সামান্য গরম মশলার গুঁড়ো উপরে ছড়িয়ে ভালো করে নেড়ে নিন।
যদি আপনি ভুড়ি ভুনায় সামান্য ঝোল বা গ্রেভি রাখতে চান তাহলে এ পর্যায়ে সামান্য গরম পানি মিশিয়ে দিন। ৫ মিনিট চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। আর যদি ভাজা ভাজ করতে চান; তাহলে চুলার আঁচ কমিয়ে আরও ৭-৮ মিনিট ভেজে নিন। এ পর্যায়ে দেখবে ভুড়ি ভুনা অনেকটা কালো হতে শুরু করেছে। তারপর নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার ভুড়ি ভুনা। ভাত, রুটি, পরোটা দিয়ে দারুন মানিয়ে যায় মুখোরোচক এই পদটি।