শীত প্রায় চলেই এসেছে! এখন দিনে গরম পড়লেও সন্ধ্যা থেকে আবহাওয়া থাকে অনেকটাই ঠান্ডা। তাই তো ভোর রাতে অনেকেই হয়তো ঘুমের ঘোরে শরীরে কম্বল জড়িয়ে নেন!
ঋতু বদলের এ সময় শরীর নিয়ে কমবেশি সবাই চিন্তিত থাকেন। কখন না জানি জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগতে হয়! শিশু থেকে বয়স্ক সবারই এ সময় ঠান্ডা লাগতে পারে।
তাই আগে থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি। সর্দি-কাশি এড়াতে এখন থেকেই মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম-
১. এ সময় বারবার হাত ধোয়া জরুরি। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই দরজার নব, কলিং বেল, রেলিং, সিঁড়ি ইত্যাদিতে হাত দিয়ে হাত ধোয়া জরুরি।
২. পরিবারের কোনো সদস্যের ঠান্ডা লাগলে, তার থেকে একটু আলাদা থাকুন।
৩. হাঁচি এলে হাত দিয়ে না মুখ ঢেকে বা জামার হাতা ব্যবহার না করে টিস্যু বা রুমাল ব্যবহার করুন।
৪. করোনা টিকা নেওয়া থাকলেও মাস্ক ব্যবহার করুন। বর্তমানে অনেকের মধ্যেই মাস্ক পরায় অনীহা এসেছে। তবে সুস্থ থাকতে অবশ্যই মাস্ক পরুন।
৫. সর্দি-কাশি হলে যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিন। প্রয়োজনে বাসা থেকে বের না হলেই ভালো।
৬. এ সময় যতটা বেশি সম্ভব তরল পানীয় খান। শরীরকে ডিহাইড্রেটেড করা উচিত নয় একেবারেই। ফলের রস থেকে শুরু করে চিকেন স্ট্যু সবই খেতে পারেন।
৭. ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৮. ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এমন খাবার বেশি খান। এজন্য মাছ, বাদাম, গাছের বীজ ইত্যাদি প্রতিদিনের খাবারে রাখুন। ওমেগা ও সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার মাধ্যমেও এর চাহিদা পূরণ করতে পারেন।
৯. এ সময় শাক সবজি বা ফল মূল বেশি করে খেতে হবে। এখন বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজিও ও ফল উঠতে শুরু করেছে। পছন্দের পুষ্টিকর খাবার পাতে রাখুন।
১০. শীত শীত অনুভব করলে শরীর গরম রাখতে প্রয়োজনীয় কাপড় পরুন। ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থাকলে সঙ্গে স্কার্ফ রাখুন।
১১. ঠান্ডার সমস্যা থাকলে স্টিম বা ভেপার নিন। সেক্ষেত্রে নিয়ম করে দিনে দু’বার স্টিম বা ভেপার নিতে পারেন।