আরও ত্যাগ স্বীকার করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। এখন এক দফা, এক দাবি, এই সরকারের পদত্যাগ। এই সরকারের পতন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।

সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক উন্মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আসুন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই লুটেরা সরকারের পতন করি। স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ঢাকায় ১০ তারিখের সমাবেশের আগেই ঢাকার আশপাশে মামলা-হামলা হচ্ছে। এভাবে জনগণের আন্দোলন স্তব্ধ করা যায় না। কাউকে স্তব্ধ করার এখতিয়ার সরকারি সংস্থার নেই। তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি ব্যাংকগুলো দেউলিয়া ঘোষণা করবে, আমানতকারীরা রাস্তায় নামবে। বিচার বিভাগের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে গয়েশ্বর বলেন, কোনো আদালতেই শেখ হাসিনার কথা ছাড়া কাজ হয় না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বলতে পারবেন লুটপাটকারীদের নাম। পারবেন না। সে কারণে জনগণ মনে করে লুটপাটের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, প্রথমবারের মতো বিপ্লব ও সংহতির প্রয়োজনে রাজপথে এসেছি। পাকিস্তানের ২২ পরিবারের সমালোচনা করছি। এই সরকার সারাদেশে ২২০ পরিবার সৃষ্টি করেছে। যারা কানাডার বেগম পাড়ায় বাড়ি করছে। আওয়ামী লীগ এক সময় বলতো আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো, কিন্তু এখন সেটা বলতে ভয় পায় কেন? তিনি বলেন, আমরা জনগণের সরকার চাই, লুঠপাট শাসন চাই না। আমরা এই সরকারের পতন ঘটাবো। স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশপাশে পঁচাত্তরের খুনিরা। শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না দিলে আপনি সম্মান নিয়ে যেতে পারবেন না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।