আবহাওয়া ঠান্ডা হতেই অর্থাৎ শীতের মৌসুম আসতেই আবারও বাড়তে শুরু করেছে কোভিডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সম্প্রতি করোনার নতুন ধরন শনাক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশে এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এক্সবিবি’তে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোভিডের লক্ষণেও পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া ভ্যাকসিন ও টিকাবিহীন ব্যক্তিদের মধ্যে লক্ষণে পার্থক্য রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ZOE বা জো কোভিড গবেষণা করোনভাইরাসটির বিরুদ্ধে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায় এমন পাঁচটি সাধারণ লক্ষণ তালিকাভুক্ত করেছে। যা দেখলে সবারই সতর্ক হওয়া উচিত।
গলা ব্যাথা
গলায় অস্বস্তি যেমন ব্যথা বা চুলকানি অনুভূতি সাধারণত দেখা যায় যখন কেউ তারা কোভিডে আক্রান্ত হন। ওমিক্রন নেতৃত্বাধীন কোভিড তরঙ্গের প্রাথমিক পর্যায়ে এই লক্ষণ সবচেয়ে সাধারণ হয়ে ওঠে।
জো কোভিড সমীক্ষা বলছে, টিকা দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে গলা ব্যাথা কোভিডের সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হিসেবে রিপোর্ট করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কথা বলতে অসুবিধা, খাবার গিলতে গিয়ে ব্যথা ও গলায় অনবরত জ্বালাপোড়া এই উপসর্গের বৈশিষ্ট্য।
নাক দিয়ে পানি পড়া
জো কোভিডের ত্লিকাভুক্ত দ্বিতীয় সাধারণ লক্ষণ হএলা নাক দিয়ে পানি পড়া। এটিও আগের করোনা তরঙ্গগুলোর একটি সাধারণ লক্ষণ। যেহেতু এটি একটি শ্বাসকষ্টজনিত অসুখ, তাই টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা দেয়।
ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের কারণে নাক থেকে পানি পড়ার সমস্যা দেখা যায়। এ সমস্যার ক্ষেত্রে স্টিমিং বা গরম পানির ভাঁপ স্বস্তি দিতে পারে।
নাক বন্ধভাব
গলা ও নাকে সংক্রমণের কারণে কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নাক বন্ধভাব দেখা দেয়। অবরুদ্ধ নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে ওঠে।
বসে থাকা অবস্থায়তেও যদি কোনো ব্যক্তির নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় তাহলে সতর্ক থাকুন। এমন ক্ষেত্রে ঘুমানোও কঠিন হয়ে পড়ে।
অনুনাসিক ড্রপগুলো এক্ষেত্রে সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে, তবে অনুনাসিক পথটি প্যাথোজেন থেকে পরিষ্কার রাখার জন্য গরম ভাঁপ নেওয়ার চেষ্টা করুন।
অবিরাম কাশি
কোভিডের নতুন লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অবিরাম কাশি। যা টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। এটি কোভিডের একটি গুরুতর উপসর্গ।
ক্রমাগত কাশির সমস্যা ভেষজ প্রতিকার দিয়ে সমাধান করুন। কাশি কমানোর জন্য আদা চা খাওয়ার চেষ্টা করুন।
মাথাব্যথা
গলা ব্যথা, কাশি, নাক বন্ধসহ কোভিডের আরও এক অন্যতম লক্ষণ হলো মাথাব্যথা। অতিরিক্ত মাথাব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন ও ব্যথা কমানোর ওষুধ খান।