পর্যটন মৌসুম না হলেও পদ্মা সেতুর সুবাদে অসময়ে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে সুন্দরবনে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর দুর্যোগ মৌসুম হওয়ায় এই সময়টাতে সুন্দরবনে পর্যটকের আগমন খুবই কম থাকে। কিন্তু বিগত সময়ের শূন্যতা কাটিয়ে এখন অনেকটা পর্যটকমুখর পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পদ্মা সেতুর কারণে দিনে দিনে সুন্দরবন ভ্রমণ করে ফিরে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় অসময়ে পর্যটকের এ আগমন বলে জানিয়েছেন বনবিভাগ।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, ‘সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস মূলত দুর্যোগ মৌসুম। এই দুই মাস ঝড়-বৃষ্টির কারণে নদী উত্তাল থাকে। তাই এই সময় সুন্দরবন পর্যটকশূন্য থাকে। বিগত বছরে দেখা গেছে সেপ্টেম্বরে এ সময় দৈনিক গড়ে ৫-২৫ লোকের আগমন হতো। এখন সেই সংখ্যার কয়েকগুণ লোক আসছে সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্রে।’

তিন মাস বন্ধ থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সুন্দরবন। উম্মুক্ত হওয়ার প্রথম দিনেই ১১৭ জন, দ্বিতীয় দিনে ২৫০ জন, তৃতীয় দিনে ২০০ জন এসেছেন। চতুর্থ দিন রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ১০০ লোক এসেছেন। বিকেল পর্যন্ত তা বেড়ে দেড় থেকে দুইশ হবে বলে জানিয়েছেন বন কর্মকর্তা আজাদ কবির।

বনবিভাগ বলছে, আগামী নভেম্বরে পুরোপুরি পর্যটন মৌসুম শুরু হবে। তখন ব্যাপক চাপ বাড়বে সুন্দরবনে। তবে দেশের যে কোনো জায়গা থেকে এসে মোংলার সবচেয়ে কাছাকাছির পর্যটনকেন্দ্র হলো করমজল। তাই এখানে সবসময় দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি।