রাত পোহালেই ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন মুসলমানরা। দেশের সব জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ৬ লাখ মুসল্লির জন্য একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায়ে প্রস্তুত করা হয়েছে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মিনার ও মাঠ দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দান।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, ঈদুল ফিতরে এখানে ছয় লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম হয়েছিল। এবারো সেই পরিমাণ লোক সমাগম হবে।
সরেজমিনে দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে গিয়ে দেখা যায়, সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি মুসল্লিদের সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে মাঠে ফেলা হয়েছে বালু। সেই বালু দিয়ে নিচু জায়গাগুলো ভরাট করা হয়েছে। রোলিং করে সমান করা হয়েছে। রং করা ও ধোয়া-মুছে চকচকে করার কাজ শেষ। মিনারের পেছনে ওজুর জন্য বসা ও পানির ব্যবস্থাকরণ কাজও সম্পন্ন। নির্মাণ করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যবেক্ষণের জন্য ওয়াচ টাওয়ার। মাঠে প্রবেশের জন্য চারপাশে তৈরি করা হয়েছে তোরণ। বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, এ মাঠ কড়া নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। মাঠে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ার। এসব থেকে সার্বক্ষণিকভাবে পুরো মাঠ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বেশ কয়েকদিন থেকেই শহর ও শহরের আশেপাশের সিসি ক্যামেরাগুলো পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মুসল্লিদের তল্লাশি করে মাঠে প্রবেশ করানো হবে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, ডিএসবিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। এরই মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাদের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন।
উপমহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় এ ঈদগাহ মাঠের উদ্যোক্তা ও পরিকল্পনাকারী জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম শুক্রবার বিকেল ৪টার সময় মাঠ পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, উপমহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাতে প্রতি ঈদেই ৫ থেকে ৬ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। গত ঈদুল ফিতরেও এ মাঠে একসঙ্গে ছয় লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেছি। এবারের ঈদুল আজহাতেও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে ছয় লাখ মুসল্লি সমাগমের। এরই মধ্যে মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে মাঠে নামাজ আদায় করতে পারে এবং বাড়িতে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারে এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টিও বলা হচ্ছে।