দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দারা এবার নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন পদ্মা সেতু হয়ে। তবে শিমুলিয়া ঘাট থেকে নৌযানে এবারো পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন মোটরসাইকেল আর কিছু সংখ্যক যাত্রী। শিমুলিয়া থেকে মাঝিকান্দি নৌরুটে সচল রয়েছে লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোট। এছাড়া বাংলাবাজার রুটে চলছে লঞ্চ ও স্পিডবোট।

ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কিছু সংখ্যক মানুষ স্পিডবোট ও লঞ্চঘাটে উপস্থিত রয়েছেন। ৩ নম্বর ফেরিঘাটে অপেক্ষায় ছয়-সাতটি মোটরসাইকেল। তবে কোনো প্রাইভেটকার কিংবা অন্য কোনো যানবাহন নেই। ঘাটে নোঙর করা আছে তিনটি ফেরি।

ঘাটে কথা হয় পাঁচজন যাত্রীর সঙ্গে। যাদের মধ্যে দুজন যাত্রীর বাড়ি শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি ঘাট এলাকায়। অপর তিনজন মোটরসাইকেল আরোহী। এরমধ্যে শরীয়তপুরগামী এক যাত্রী রুবেল হোসেন বলেন, ‘আমার বাড়ি মাঝিকান্দি ঘাটে। তাই স্পিডবোটে পার হচ্ছি। নদী পার হলেই বাড়ি। নারায়ণগঞ্জে একটি কোম্পানিতে কাজ করি। নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ হয়ে ঘাটে এসেছি। এদিক দিয়ে তো সেতুতে যাওয়ার সরাসরি বাস নেই তাই স্পিডবোট দিয়ে পার হচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাঝিকান্দি কিংবা বাংলাবাজার ঘাটে যাদের বাড়ি তারা নৌপথেই যাচ্ছে। এছাড়া যারা ঢাকা কিংবা নারায়ণগঞ্জ থেকে গাড়ি পাননি তারা অনেকে ভেঙে ভেঙে যাচ্ছেন।’

মোটরসাইকেলের চালকরা জানান, সেতুতে চলাচল বন্ধ তাই ফেরিই এখন ভরসা। তবে বেশি মোটরসাইকেল না হলে ফেরি ছাড়া হচ্ছে না বলেও জানান তারা।

এদিক ঘাটে আসা কিছু যাত্রীকে ট্রলারযোগেও নদী পার হতে দেখা যায়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন  বলেন, লঞ্চ-স্পিডবোটে যাত্রীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। কিছু সংখ্যক মানুষ আসছে। শুক্রবার সারাদিনে লঞ্চের ৪০টি ট্রিপ হয়েছে। সেক্ষেত্রে ৫ হাজারের মতো যাত্রী পারাপার করেছে। আজকে ৮১টি লঞ্চ সচল হয়েছে। এছাড়া স্পিডবোটও চলাচল করছে। সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লঞ্চ ও সন্ধ্যা পর্যন্ত স্পিডবোট চলবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহ-মহা ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম  বলেন, সকাল ৯টায় ১৪০ মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরি ‘কুমিল্লা’ শিমুলিয়া থেকে মাঝিকান্দির উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। ঘাটে মোট আটটি ফেরি রয়েছে। যানবাহন আসলে ফেরি চালানো হবে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে ফেরি চলবে।