বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ত্যাগের মহিমায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং ইউরোপ-আফ্রিকা ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে আজ শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে। করোনা মহামারির বৈশ্বিক অভিঘাত সামলে এ বছর বিভিন্ন দেশে অনেকটাই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত হয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করছেন মুসল্লিরা। উন্মুক্ত পরিবেশে হচ্ছে ঈদের জামাত।

মক্কার কাবা শরিফ, মদিনার মসজিদে নববিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় মসজিদের ভেতরে প্রথম সারিতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন আমির ও শেখরা।

পবিত্র কাবা শরিফে ঈদের নামাজ পড়ান ও খুতবা দেন কোরআনের প্রসিদ্ধ কারি প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও সুমধুর কণ্ঠের অধিকারী শায়খ ড. আব্দুল্লাহ আওয়াদ আল-জুহানি। আর মসজিদে নববিতে নামাজ পড়ান প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও প্রসিদ্ধ ইমাম শায়খ ড. আব্দুল বারি আল-থুবাইতি।

এদিকে ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে পবিত্র আল আকসা মসজিদের সামনে সকালে জড়ো হন পশ্চিমতীরের মুসল্লিরা। আদায় করেন পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত। ওই জামাতে অংশ নিতে দেখা গেছে হাজারো ফিলিস্তিনিকে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, মিশর ও জর্ডানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর এবারই উন্মুক্ত স্থানে খুতবা ও জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গেল বছর মৌরিতানিয়া, মরক্কো, ওমান এবং তিউনিশিয়ার মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো করোনার কারণে ঈদের জামাত বাতিল করা হয়েছিল। তবে এবার সেসব দেশেও উৎসবের আমেজে ঈদ উদযাপন হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতে আজ ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে। এছাড়া ইউরোপ ও আফ্রিকার বেশ কিছু দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রেও আজ ঈদ উদযাপন করছেন মুসলিম সম্প্রদায়।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সৌদি আরবে চলতি বছরের পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এতে দেশি-বিদেশি ১০ লাখ মুসলিম অংশ নিয়েছেন। মক্কায় কাবা তাওয়াফের মাধ্যমে হজ কার্যক্রম শুরু হয়। অনেকেই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে বিভিন্ন জায়গায় তাঁবু টানিয়েছেন। কারণ সেখানের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। এ বছর সৌদি আরবে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।