ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। গত কয়েকদিন মহাসড়কে যাত্রীদের তেমন চাপ না থাকলেও বুধবার (৬ জুলাই) দুপুর থেকেই যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এ সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে পরিবহন মালিকদের বিরুদ্ধে।

ঈদযাত্রার ভোগান্তি এড়াতে তিনদিন আগেই গ্রামে ফিরছেন অনেকেই। মহাসড়কে যাত্রীদের যানবাহনের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

বুধবার বিকেল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে সরেজমিন এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগ এড়াতে আগেভাগে তারা গ্রামে যাচ্ছেন।

যাত্রীদের অভিযোগ, চিটাগাংরোড থেকে সিলেটের বাস ভাড়া নন-এসিতে ৫৭০ টাকার পরিবর্তে ৬৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া শিমরাইল মোড় থেকে মুন্সিগঞ্জের ভাড়া ৫০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকা, শিমরাইল মোড় থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দির ভাড়া ১০০ টাকার পরিবর্তে ২৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া শিমরাইল মোড় থেকে মোঘরাপাড়ায় বাস ভাড়া ২৫ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অধিকাংশ বাসের হেলপাররা বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। কিছু বাসের হেলপার বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও তারা ঈদের অজুহাত দেখিয়ে বলছেন, বছরে এই কয়েকটা দিনই আমরা একটু বেশি ভাড়া নিই। তার ওপর মহাসড়কে যানজট রয়েছে। এর ফলে আমাদের গাড়িগুলো ঠিকসময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারছে না।

মো. সাগর নামে এক চাকরিজীবী বলেন, এখনো ঈদের ছুটি শুরু হয়নি। ভেবেছিলাম ছুটি শুরুর পর যাত্রীদের চাপ বাড়বে। তবে মহাসড়কে এসে দেখি আজ থেকেই যাত্রীদের অনেক চাপ রয়েছে। তাই ভাবছি আজই আমার পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দেবো।

আব্দুস সালাম নামে এক যাত্রী বলেন, মহাসড়কে অনেক পুলিশ ডিউটি করছেন। অতিরিক্ত পুলিশ থাকায় যানবাহনচালকরা এখনো পর্যন্ত সড়কে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করছেন। তবে ভাড়া একটু বেশি গুনতে হয়েছে। এ বিষয়টা তারা একটু দেখভাল করলে ভালো হতো। আমরিন জামান নামে এক যাত্রী বলেন, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া দেওয়া আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য বেশ কষ্টকর। গ্রামে তো যেতেই হবে, তাই বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে বাধ্য হচ্ছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে এবং যানজট নিরসনে প্রায় পাঁচ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত আছেন। প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও মহাসড়কে ছয়টি হোন্ডা পার্টি, ছয়টি মোবাইল টিম ও সাদা পোশাকে পুলিশ থাকছে। এছাড়া মহাসড়কে কোনো গাড়ি বিকল হলে তা সরানোর জন্য তিনটি রেকার প্রস্তুত রেখেছি।