দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া ঘাট এখন ফাঁকা ময়দান। সড়কে নেই যানবাহনের সিরিয়াল। যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা অপেক্ষায় না থেকে মুহুূর্তের মধ্যে পেয়ে পাচ্ছেন ফেরির নাগাল।

রোববার (২৬ জুন) সকাল থেকেই দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাটের সড়কে কোনো অপেক্ষমাণ যানবাহনের সিরিয়াল দেখা যায়নি।

দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনগুলোকে কোনো ধরনের দুর্ভোগ ছাড়াই সরাসরি ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রী ও চালকরা।

দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ঘাট। এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক যাত্রী ও হাজার হাজার যানবাহন পদ্মা নদী পারি দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আসা-যাওয়া করে। ফলে ফেরির অপেক্ষায় ঢাকামুখী যানবাহনগুলোকে দৌলতদিয়া প্রান্তের সড়কে ঘণ্টা কখনো বা দিনের পর দিন আটকে থাকতে হয়। কিন্তু হঠাৎ চিরচেনা দৌলতদিয়া ঘাটের চিত্র পাল্টে গেছে।

শনিবার (২৫ জুন) বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতুর উদ্বোধন করেন। রোববার ভোর ৬টা থেকে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতুর চালুর পর এর প্রভাব পড়েছে দৌলতদিয়া ঘাটে। ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ কমেছে। এখন মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ীসহ কয়েক জেলার যানবাহন দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করছে। ফলে কোনো ভোগান্তি বা অপেক্ষা ছাড়াই দৌলতদিয়া ঘাটে আসা যানবাহনগুলো ফেরিতে উঠতে পারছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় ২১টি ফেরি চলাচল করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করে তিন হাজার ৩৪৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রোববার যানবাহনের চাপ কম থাকে। যে কারণে হয়তো আজ চাপ নেই। তবে যানবাহন পারাপার হবে। কিন্তু আগের মতো ভোগান্তি থাকবে না। কয়েকদিন না গেলে ঘাটের অবস্থা বোঝা যাবে না।