কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ঘোড়াউত্রা ও কালনী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। উজানের পানি দ্রুত হাওরে প্রবেশ করছে। এতে করে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ইতোমধ্যে জেলার অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন উপজেলার শতাধিক গ্রামের প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া করিমগঞ্জ, তাড়াইল, নিকলী, বাজিতপুর ও ভৈরবের নিচু এলাকা বন্যায় ডুবে গেছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। ভেসে গেছে হাজার হাজার মাছের খামার। প্রশাসনের উদ্যোগে তিন শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেসব কেন্দ্রে এরইমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানিয়েছেন, উজানের পানি দ্রুত হাওরে প্রবেশ করছে। এতে করে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে ১৪০ মেট্রিক টন চাল, দুই হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট ও আড়াই লাখ টাকার জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
শতভাগ হাওর অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা এখন পানির নিচে। এই তিন উপজেলার এক লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
ইটনা এলাকায় অলওয়েদার সড়কের কাছাকাছি চলে এসেছে পানি। মিঠামইন উপজেলার প্রায় ৫ শধাধিক পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। অষ্টগ্রামে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যাকবলিতরা এসে এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও করিমগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের।