করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমেছে। এসময়ে বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭০৬ জন। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৬৩ হাজার ২১৬ জন। এছাড়া করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৩ লাখ ৭৬ হাজার ২৬৬ জন। এসময়ে জার্মানিতে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ১৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। আর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে তাইওয়ানে।

রোববার (১৯ জুন) সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ১৯৯ জন। আর করোনা শনাক্ত বেড়ে দাঁড়ালো ৫৪ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার ৪৩ জনে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫১ কোটি ৯২ লাখ ১১ হাজার ২৯৫ জন।

করোনার সংক্রমণের তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৪ জন। শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৪৯ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৮ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ৩৮ হাজার ২৮৯ জনের। এছাড়া সেরে উঠেছেন ৮ কোটি ৩৭ লাখ ৬৫ হাজার ১২২ জন।

একদিনে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছেন জার্মানিতে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ১৯ জন। আর ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে তাইওয়ানে। দেশটিতে এসময়ে মারা গেছেন ১৮১ জন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানে শনাক্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৭০৭ জন রোগী।

ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪৫ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৭১ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৭৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯০৫ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৬৭ হাজার ৭০৩ জন। অস্ট্রেলিয়া একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৯২৭ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ৬৪ জন।

সংক্রমণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৭০৩ জন। এ নিয়ে দেশটিতে শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৩২ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৬ জনে। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ৮৪০ জন। এছাড়া সেরে উঠেছেন ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৮৪৫ জন।

তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ২০ হাজার ১২৭ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ৯৪ জন। এনিয়ে দেশটিতে শনাক্ত বেড়ে দাঁড়ালো ৩ কোটি ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫০২ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬২ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় ৬৮ জন, দক্ষিণ কোরিয়া ১১ জন, জাপানে ২৩ জন, মেক্সিকোতে ১৯ জন, থাইল্যান্ডে ২৩ জন, ইসরায়েলে ১৪ জন, চিলিতে ৩২ জন, গুয়েতেমালায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।