বেশিরভাগ পুরুষই মনে করেন, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে তাদের বয়স কোনো ব্যাপার নয়। যদিও অনেক পুরুষই ৫০ বা তার বেশি বয়সের সন্তানের জনক হচ্ছেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ ৯২ বছর বয়সে সন্তানের বাবা হয়েছেন।

আবার ৪০ বছর পার হতেই অনেকে বাবা হতে পারছেন না। এর কারণ কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়সের সঙ্গে শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান কমতে শুরু করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ বেশি বয়সে বাবা হন তাদের সন্তানেরাই বেশি নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডারে ভোগেন।

২০১০ সালে করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের সন্তানদের অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার হওয়ার ঝুঁকি সাধারণ জনসংখ্যার তুলনায় পাঁচগুণ বেশি।

বাবা হওয়ার সঠিক বয়স কত?

জার্নাল অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২৫ বছর বয়সের আগে বাবা হওয়া গুরুতর স্বাস্থ্যের পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এমনকি মধ্য বয়সে অকালমৃত্যুও হতে পারে।
সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, যে পুরুষরা ২৫ বছরের আগে বাবা হয়েছিলেন তাদের স্বাস্থ্য খারাপের ঝুঁকি বেশি ছিল। আর যারা ৩০-৪৪ বয়সের মধ্যে বাবা হয়েছেন তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও কম।

উর্বরতা বাড়াতে পুরুষরা কী করবেন?

অনেক লাইফস্টাইল ফ্যাক্টর আছে যা আপনার শুক্রাণুর গুণমানকে ব্যাহত করে। এর মধ্যে ধূমপান, অ্যালকোহল, স্থূলতা পুরুষের উর্বরতা কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে ধূমপান শুধু শুক্রাণুর গুণমান কমিয়েই দেয় না বরং তাদের পরিমাণ ও গতিশীলতাও কমিয়ে দেয়।

সর্বোত্তম শুক্রাণু উৎপাদন করার জন্য, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অপরিহার্য। কিছু গবেষণা পরামর্শ দেয় যে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারও শুক্রাণুর মান উন্নত করতে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই অ্যালকোহল ও ধূমপান বন্ধ করতে হবে।

এর পাশাপাশি খুব আঁটসাঁট পোশাক পরা, দীর্ঘক্ষণ আপনার কোলে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করা, গরম পরিবেশে প্রচুর সময় কাটানো বা দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা এড়িয়ে চলুন।